ঘূর্নিঝড় মিগজাউমের পরোক্ষ প্রভাবে বুধবার বিকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা সহ তার পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতে। রাতভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হওয়ার পড় বৃহস্পতিবার সকাল হতেই বেড়েছে তার পরিমাণ। লাগাতার বৃষ্টিতে জেরবার জনজীবন। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ সারাদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের মোট ৬ টি জেলায় চলবে বৃষ্টি। শুক্রবারও কোনও কোনও জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা রাখছে হাওয়া অফিস।
নভেম্বরের শেষের দকে সামান্য শীতের আমেজ এলেও ডিসেম্বরের শুরু থেকেই দক্ষিণবঙ্গে উধাও শীত। বারবার নিম্নচাপ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শীতের পথে। কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল শহরবাসীর মনে। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিল হাওয়া মহল। বুধবার বিকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টির ফলে বৃহস্পতিবার স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা। এ দিন কলকাতার তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। শুক্রবারের পর রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ার পথ খুলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ঠান্ডা উপভোগ করতে পারেন শহরবাসী।
অন্যদিকে, ঘূর্নিঝড় মিগজাউম শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হলেও, এখনও সেটি মধ্য ভারতে অবস্থান করছে। আর তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গে এই দুর্যোগ। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল বুধবার বিকেল থেকেই। সন্ধ্যার পর তার প্রাবল্য বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দমকা হাওয়াও। রাতভর বৃষ্টির পর বৃহস্পতিবার সকালেও আকাশের মুখভার। দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হচ্ছে।
হাওয়া অফিসের তরফে বৃহস্পতিবার সকালে জানানা হয়েছে, একনাগাড়ে না হলেও, বৃহস্পতিবার রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। এই জেলাগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া। শুক্রবার সকালেও কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।