

বিশ্ব দরবারে শিরোপা জিতে নিয়েছিল রাজ্য সরকারের 'কন্যাশ্রী' প্রকল্প। অথচ ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়ায় সেই প্রকল্পের জন্য তৈরি হওয়া কন্যাশ্রী পাঠাগার আজ বন্ধ। শোনা যায় ওই পাঠাগারটি রাজ্যের মধ্যে প্রথম কন্যাশ্রী পাঠাগার।
প্রথমে ব্যবহারযোগ্য ছিল পাঠাগারটি। কিন্তু দিনের পর দিন অর্থ ও গ্রন্থাগারিকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। জঙ্গলমহলে হতদরিদ্র পরিবারগুলির সামর্থ ছিল না তাদের মেয়েদের পড়াবার খরচ বহন করবে। তাছাড়া বাল্যবিবাহও এই অঞ্চলের মেয়েদের ক্ষেত্রে শিক্ষার আঙিনায় কাঁটা হয়ে দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায় ভালো শিক্ষকের অভাব বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের স্কুলজীবনে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। সবদিক বিবেচনা করে ২০১৮ সালে গোপীবল্লভপুর-২ ব্লক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পাঠাগারটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, আগে পাঠাগারটি খোলা থাকলেও পরে সেখানকার সমস্ত বই ব্লক অফিসে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। সেই অফিস থেকেই ছাত্রীদেরকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। পড়ুয়ারাদের থেকে জানা যায় এখন বই নিতে গেলে অফিস টাইমে ব্লক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অবিভাবকদের একাংশ দাবি করছেন কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য তাদের মেয়েরা খুবই উপকৃত হচ্ছে। তাই প্রশাসনের উচিত পুনরায় ঐ পাঠাগার যাতে খোলা যায় সেইদিকে নজর দেওয়া।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন