২১ এপ্রিল, কলকাতা- বর্তমান করোনা পরিস্থিতি জন্য দায়ী মোদি সরকার। গত এক বছর ধরে বিভিন্ন মন্দিরে ঘুরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির তৈরি করেছেন। কিন্তু কোনও হাসপাতালে যাননি, তৈরিও করেননি। গোটা একটা বছর সময় তিনি নষ্ট করেছেন। মঙ্গলবার রাতে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এভাবেই সেই ভাষণের সমালোচনা করলেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা স্বীকার করে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশকে সংঘবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার ডাক দিয়েছেন। প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, 'দেশকে লকডাউনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছি আমরা। তবে এখনই দেশকে লকডাউনের দিকে নিয়ে যাবেন না। রাজ্যগুলির কাছে আমার অনুরোধ, করোনা রোখার ক্ষেত্রে শেষ অস্ত্র হিসেবে লকডাউনকে প্রয়োগ করুন।'
পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকুন। প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব ওই শ্রমিকদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে। শ্রমিকদের টিকাকরণ করতে পারলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে।' প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনকে কটাক্ষ করেছেন যাদবপুর কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে বলব গতবছরের পরিস্থিতি খেয়াল রাখুন। হাজার হাজার লোক খাবার, ওষুধ, জল না পেয়ে ফোন করেছিল। পয়সা ছিল না। স্বেচ্ছায় নয়, প্রাণের দায়ে তাঁদের পালিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যে সেই পরিস্থিতি ফের তৈরি হয়েছে। মানুষ কম যাওয়া আসা করার বন্দোবস্ত কিছু হয়েছে কি? হয়নি। সেসময় দিল্লির সরকার দায়হীন। রাস্তায় লোক মরেছে। রাজ্য সরকার রাস্তায় দাগ কেটেছে। লোকের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে বামপন্থীরা। প্রধানমন্ত্রী আগে ওদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।'
প্রসঙ্গত, তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সমালোচনার সুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'যা প্রয়োজন তা করার উদ্যোগ নেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের। তারা কিছু বুলি আউড়ে যাচ্ছেন। বিজেপি এবং তৃণমূল ছাড়া সবাই নির্বাচনের প্রচারে রাশ টেনেছে। গত একবছরে শুধুই আশ্বাস দিয়েছে।'
সুজনের কথায়, 'আমরা সবার আগে মিটিং-মিছিল-সমাবেশে রাশ টেনেছি। আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল হয়েছে। রাজনীতির চেয়ে মানুষের জীবন সবার আগে এই কথা দুই সরকারকে বুঝতে হবে। ওঁরা তো হেলিকপ্টারে হেলিকপ্টারে ঘুরছেন।' নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর বক্তব্য, 'নির্বাচন কমিশন সবার জন্য সমান আচরণবিধি তৈরি করে মান্য করতে বলুক। না হলে মানুষের বিপদের দায় সরকারের ঘাড়ে পড়বে।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।