

দিল্লি উড়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লাকাণ্ডে ED-র তলবে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান - 'আমি নভেম্বর মাসে যা বলেছিলাম, তার ৭ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। আমি আজও আমার অবস্থানে অনড়। আমি প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা ১০ পয়সারও কোনো লেনদেন প্রমাণ করতে পারে, আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না, ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করুন, আমি মৃত্যুবরণ করে নেব। আজও একই কথা বলছি। যে কোনো তদন্তের সামনা সামনি হতে প্রস্তুত আমি।'
তিনি আরও বলেন - কলকাতার ঘটনায় আমাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে। আমি যাব দিল্লিতে। বিজেপি হেরে গেছে। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করতে পেরে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতিতে নেমেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে পিছনে লেলিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করা ছাড়া ওদের কোনো কাজ নেই।
তিনি বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ করে বলেন - 'আমি বিজেপি নেতাদের বলবো বসুন না আমার সাথে যেকোনো সর্বভারতীয় নেতা, যেকোনো চ্যানেল ঠিক করুন, আমার সাথে বসু্ন, কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঁচ বছরে কিভাবে কাজ করেছে, সাত বছর আপনাদের শাসনকালে ভারতবর্ষের কি করুণ পরিণতি, আমি যদি এক্সপোজ না করতে পারি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না।'
তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। আরও বলেন- 'টিভির পর্দায় যাদেরকে কাগজ মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, সেই ঘটনায় সিবিআই-এর চোখে ছানি পড়ে যায়। সুদীপ্ত সেন যাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছে, তাদের একজন এখানে বিজেপির দলনেতা, আরেকজন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, আসামের মুখ্যমন্ত্রী। এইতো বিজেপির দ্বিচারিতা। তৃণমূলকে এইভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেস ১ ইঞ্চি মাথা নত করবে না। আমি আপনাদের কথা দিয়ে যেতে পারি, আমরা আর যাই হোক শিরদাঁড়া বিক্রি করব না।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন