

হামলা চালানো হয়েছে থানার আইসি ও স্থানীয় তৃণমূলেরই বিধায়কের নেতৃত্বে। এমনটাই অভিযোগ করলেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা তথা ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ চাকী।
মুর্শিদাবাদের ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার ডোমকলে আক্রান্ত হলেন আরেক তৃণমূল নেতা প্রদীপ চাকী। তিনি বলেন, আমি আমার ছেলের পানশালায় গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর দেখি ২০-২৫ জন পানশালার দিকে হামলা করছে। আমি সাথে সাথেই ডোমকল আইসিকে ফোন করলাম। কিন্তু তিনি ফোন ধরলেন না। এটা আইসি এবং জাফিকুলের চক্রান্ত।
পাশাপাশি তিনি বলেন, মারার কারণ হলো আমি আগে মিডিয়াতে বলেছিলাম গোরু পাচারের সাথে যুক্ত আইসি ও জাফিকুল (ডোমকল বিধানসভার বিধায়ক)। সমস্ত টাকা দু’জন মিলে ভাগ করে খায়। জাফিকুলের ভাইয়ের একটা ব্যবসা আছে। সেটারও পার্টনার এই আইসি। আমাকে পরিকল্পিত ভাবেই মারা হয়েছে। ওদের (জাফিকুল ইসলাম ও থানার আইসি) মাস্টার প্ল্যান এটা। যদিও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি থানার আইসি ও বিধায়কের।
উল্লেখ্য, ২৭ নভেম্বর প্রদীপ চাকীর ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার মাথায়, হাতে ও বুকে লেগেছে বলেই জানা যাচ্ছে। চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে।
সূত্রের খবর, আহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে রবিবার পথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে (প্রদীপ চাকী) টাকা নিতেন বলেই অভিযোগ করেন একাংশ। অবরোধ শেষে তাঁকে মারধর করা হয়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দু'জনকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন