রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আরও এক গুণের কথা জানতে পারলো বাংলা। নিজেই প্রকাশ্যে আনলেন সেকথা। পুরুলিয়ার কর্মীসভা থেকে এদিন তিনি জানান কুড়মালি ভাষাতেও তিনি কবিতা লিখেছেন।
সম্প্রতি নিরলস সাহিত্য চর্চার জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আবার তাঁর অন্য একটি গুণ সামনে এল। মঙ্গলবারের কর্মীসভায় জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য তাঁর সরকার কী কী করেছে সেইসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি দাবি করেন, “কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতির দাবি ছিল, করে দিয়েছি। আমি নিজেও কুড়মালি ভাষায় কবিতা লিখেছি। আদিবাসীদের জন্য সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনার সুযোগ আমরাই করে দিয়েছি”।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন কুড়মি সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতি জন্য। বেশ কয়েক বছর আগে তখনকার তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতির বিষয়টি লোকসভায় পেশ করেন। কুড়মালি ভাষাটি মূলত পূর্ব ভারতের ঝাড়খন্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যার কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে যুক্ত। এটি বিহারি ভাষাদলের অন্তর্গত ইন্দো-আর্য শ্রেণির ভাষা। এই কুড়মিরা মাহাতো, মোহান্ত বা মহন্ত নামেও পরিচিত।
কর্মীসভা থেকে বিরোধীদেরকেও আক্রমণ করেন মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন, "বিনা পয়সায় রেশন থেকে শুরু করে, স্টেডিয়াম, জয় বাংলা পেনশন, কন্যাশ্রী, ধামসা-মাদল এই সব কিছুই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার দিচ্ছে। সবই দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার আর বিজেপি কি ললিপপ খাবে?” ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রাখার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র সরকারকে তোপ দাগতেও ছাড়লেন না তিনি। নোটবন্দী, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কোনো কিছুই বাদ গেল না মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের তালিকা থেকে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।