

রাজ্যে করোনার গ্রাফ এই মুহূর্তে নিম্নমুখী হলেও কোভিড সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে, বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর তিনি জানান, এখন থেকেই যদি সঠিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা যায় তাহলে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করা সম্ভব। বৈঠকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রশ্নে তিনি বলেন, "একাধিক সরকারি হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে। এখনও অবধি যে ৫ জন করোনা রোগী হাসপাতালে আছেন তাদের মধ্যে ৪ জনের অক্সিজেন লাগছে। বাকি ১ জন সুস্থ আছেন।"
সম্প্রতি একাধিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা না করার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, "বেসরকারি হাসপাতালগুলো যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকি লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।"
সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানোর পিছনে মূল কারণ সরকারের কাছে বকেয়া টাকা না পাওয়া। দু মাস আগেই ২০টি বেসরকারি হসপিটাল একযোগে চিঠি দিয়ে ২০০ কোটি টাকা বকেয়ার অভিযোগ জানিয়েছে।
এ রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভেলোর এবং দিল্লির এআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে। বহু মানুষ তাই পরিষেবা পেতে ভিন রাজ্যে যাচ্ছেন। এই নিয়েও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের টাকা বাইরে না যাওয়াই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন