
মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে এবার গ্রেফতার করা হল দলেরই এক নেতাকে। মঙ্গলবার ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তৃণমূলের টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্র তিওয়ারিকে। পাশাপাশি, এদিন স্বপন শর্মা নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূল নেতার খুনে গ্রেফতারীর সংখ্যা বেড়ে হল সাত।
গত ২ জানুয়ারি মালদার ইংরেজবাজার এলাকার কাছে ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের কারখানার সামনে খুন হন দুলাল। জানা যায়, এদিন সকালে ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন দুলাল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সেই সময় বাইকে চেপে তিন জন দুষ্কৃতি কারখানার বাইরে দুলালকে তাড়া করে। তৃণমূল কাউন্সিলর কারখানায় ঢুকতেই তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)।
দুলাল সরকার খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার। চৈতালির দাবি, একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন দুলাল। সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল। বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে তারা।
এরপর মঙ্গলবার সকালে এই মামলার তদন্তে ইংরেজবাজার থানায় জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। এছাড়া, থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল নরেন্দ্রনাথের দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অখিলেশ তিওয়ারিকেও। জিজ্ঞাসাবাদের পর নরেন্দ্রনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, দুলালের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের পুরানো শত্রুতা ছিল। ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে নরেন্দ্রনাথের ভাইকে মারধর করেছিল দুলালের গোষ্ঠী। এই খুনের নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দল আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে, স্বপন নামক ব্যক্তির নামে অনেকগুলো অপরাধের মামলা রয়েছে। খুনের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকিও জেলও খেটেছেন তিনি। সম্প্রতি স্বপন নরেন্দ্রনাথের বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বলে খবর। দুলালের খুনে স্বপনের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন