

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) শুনানিতে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের চার সদস্যদকে তলব করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন সাংসদের নবতিপর মা ইরা মিত্রও। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংসদ। কমিশনের বিরুদ্ধে অকারণ হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
শুনানির জন্য কাকলী ঘোষ দস্তিদারের মা ছাড়াও ডাকা হয়েছে তাঁর বোন এবং দুই পুত্রকে। সাংসদের মা এবং বোন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রামের ভোটার। তাঁর দুই পুত্র পেশায় ডাক্তার বিশ্বনাথ দস্তিদার এবং বৈদ্যনাথ দস্তিদার কলকাতার ভোটার। কেন এসআইআর-এর শুনানিতে তাঁদের ডাকা হল, নোটিসে কী কারণ উল্লেখ করেছে কমিশন, তা খোলসা করেননি সাংসদ।
তিনি কমিশনের সমালোচনা করে বলেছেন, “ওরা তো যাকে ইচ্ছা বাদ দিতে চাইছে। সেই কারণেই এ ভাবে ডাকা হচ্ছে। আমাদের মতো জনপ্রতিনিধিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই যদি এটা হয়, তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে।“
কাকলী ঘোষ দস্তিদারের পরিবার ছাড়াও এসআইআর-এর শুনানিতে ডাক পেয়েছে তৃণমূলের আর এক জনপ্রতিনিধির পরিবার। খণ্ডঘোষ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী-কেও ডাকা হয়েছে। তবে বিধায়কের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর মা নন্দরানি বাগ ও ভাই বিপিন বাগের নাম স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। সদ্য প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের তলব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলের বিধায়ক বলেই বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আমার পরিবারকে মানসিক চাপের মধ্যে ফেলছে। নোটিস পাওয়ার পর আমার মা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছেন।”
রাজ্যের মন্ত্রী ও মালদার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন-এর আমেরিকা নিবাসী কন্যাকেও শুনানিতে ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, বাবার নামে 'মিস ম্যাচ'-এর কারণে তাঁকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার থেকে রাজ্যে এসআইআর-শুনানি শুরু হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ডাকা হচ্ছে ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় থাকা ভোটারদের। অর্থাৎ যাঁরা এনুমারেশন ফর্মে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে নিজেদের কোনও যোগ দেখাতে পারেননি।
তবে শুধু ‘নো ম্যাপিং’ তালিকা নয়, এর বাইরেও কয়েক জনকে শুনানিতে তলব করা হবে। সূত্রের খবর, আরও ১.৩৬ কোটি ভোটারকে এনুমারেশন ফর্মের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের নামের বানান, বয়স, বাবা বা মায়ের নাম, ঠিকানা সংক্রান্ত কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন