
আলিপুরদুয়ারে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে ফের একবার শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ইডি-সিবিআই যদি চোরদের না ধরে তাহলে গ্রামের মানুষ এখন চোর ধরবে।
তৃণমূলের একের পর এক নেতা, বিধায়ক ধরা পড়ার পর থেকেই বামপন্থী দলগুলি 'চোর ধরো, জেল ভরো' স্লোগান চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিটি কর্মসূচিতেই বাংলার মানুষের সামনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে তুলে ধরে আক্রমণ করছে। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদেন মহম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইডি সিবিআই তদন্ত করছে। এরপরও চোর না ধরলে ফের বলতে হবে ‘গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও’। যদি আমাদের রাজ্যের পুলিশ চোর ধরতো তাহলে বাইরে থেকে ইডি-সিবিআইকে টাকা খরচ করে ডেকে আনতে হতো না। এ রাজ্যের পুলিশ চোর-লুঠেরাদের পাহারা দিয়েছে। এই জন্যই ইডি-সিবিআইকে তদন্ত করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কালো টাকা বিভিন্ন উপায়ে সাদা করা হয়েছে। ব্যবসায়িক সংস্থা, আমদানি-রপ্তানি সংস্থা সহ ডিয়ার লটারিকেও টাকা সাদা করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ডিয়ার লটারির সাথে বার বার অভিষেক ব্যানার্জির নাম উঠে আসছে।
পাশাপাশি বাংলার বেকার যুবক যুবতীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলার ছেলেমেয়েদের মেধা, দক্ষতা ও শিক্ষা দিয়ে আমরা চেয়েছিলাম এই রাজ্যকে গড়তে। তারা তো কাশ্মীর থেকে কেরালায় গিয়ে মাটি খোঁড়ার জন্য জন্মায়নি। তাই পঞ্চায়েতের ভোট হোক আর না হোক গ্রামে গ্রামে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও সুর চড়ান মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, তৃণমূল চোর হলে বিজেপি ডাকাত। তৃণমূলের নেতা যেমন চাকরি চুরিতে ধরা পড়ছে বিজেপির নেতাও ধরা পড়ছে। তৃণমূলের নেতারা যেমন দুর্নীতির সাথে যুক্ত ঠিক একইভাবে বিজেপির নেতারাও যুক্ত। দুটি দলই সমান।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন