ছেলের স্বপ্ন বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু স্বপ্নে বাধ সেধেছিল অর্থাভাব। বিটেক পাশ করলে ভালো চাকরি মিলবে। এই আশাও ছিল। তাই বাবা চাষের জমি বন্ধক রেখেছিলেন ছেলের স্বপ্নপূরণের জন্য। বাবার মুখ রেখে ছেলে ভালোভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে।
কিন্তু একটাও চাকরি জোটেনি। মহামারী আবহে কলেজে ক্যাম্পাসিংও হয়নি। ফলে মানসিক অবসাদ ক্রমশ বাড়ছিল। শেষপর্যন্ত অবসাদগ্রস্ত হয়ে বাড়িতেই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন অয়ন পাল (২৩) নামে এক যুবক। বাড়ি হুগলি জেলার বলাগড় থানার খেতপুর গ্রামে। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের দাদা শ্রীমন্ত পাল জানান, ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে বাবা জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করেন। হুগলির মগরার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে অয়ন সাফল্যের সঙ্গে ’বি টেক’ পাস করে। তারপর অয়ন নানা ভাবে চাকরির চেষ্টা চালায়। কিন্তু না পেয়ে অয়ন মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন অয়ন।
জানা যাচ্ছে, চাপা স্বভাবের অয়ন চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। শুক্রবার দুপুরে খাওয়ার পর নিজের ঘরে যান। কিন্তু তারপর অনেকক্ষন দরজা না খোলায় ডাকাডাকি করতে থাকেন তাঁর মা। আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে অয়নের দেহ ঝুলতে দেখেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।