রাজ্যে বেকারত্বের হার ১৯.৩ শতাংশ, প্রায় অর্ধেক মহিলা বেকার

রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, নির্বাচনের ফল ঘোষণা, তারপর সরকার গঠন হয়েছে মে মাসে। মাসের শেষে এল ঘূর্ণিঝড় যশ। চলছে লকডাউন। তারই জের পড়েছে বেকারত্বের হারে।
রাজ্যে বেকারত্বের হার ১৯.৩ শতাংশ, প্রায় অর্ধেক মহিলা বেকার
সৌজন্যে- সোশ্যাল ডকুমেন্টারি নেটওয়ার্ক
Published on

রাজ্যে বেকারত্বের হার ১৯.৩ শতাংশ। তবে রাজ্যে শেষ কবে বেকারত্ব এই জায়গায় পৌঁছেছিল, তা মনে করতে পারছেন না রাজ্য সরকারের অনেক প্রবীণ আধিকারিকই। কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূল সরকার কর্মসংস্থানের জোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়নি। সংঘটিত, অসংঘটিত উভয়ক্ষেত্র বন্ধ হয়েছে।

তবে সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। মানুষের আয় কমে যাওয়ার জের এসে পড়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। গ্রামেও কাজ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। সুন্দরবনের বাঁধের মতোই ধসে পড়েছে পঞ্চায়েত। এপ্রিল, মে মাসে ক্রমশ কর্মহীনের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের যেরকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, তা না নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে তরজ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মে মাসে দেশের বেকারত্ব পৌঁছেছে ১১.৬ শতাংশে। এপ্রিলে ছিল ৮ শতাংশ। রাজ্যে জানুয়ারিতে বেকারত্বের হার ছিল ৫.২ শতাংশ। মার্চের শেষে সেই হার দাঁড়িয়েছে ৭.৫ শতাংশে। এপ্রিলের রাজ্যে বেকারত্বের হার জাতীয় হারের চেয়ে কম ছিল ৭.৬ শতাংশ।

কাজ করতে ইচ্ছুক এরকম মানুষের সংখ্যা ধরে এই গণনা করা হয়। তবে কাজ করতে সক্ষম, কিন্তু এখনই করতে চাইছেন না, সেই হিসাবে ধরলে বেকারত্বের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের সেই হার ১৯.৩ শতাংশ। এই বেকারত্বের হার প্রকাশ করার পাশাপাশি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির রিপোর্ট জানাচ্ছে, মহিলাদের কর্মসংস্থানের অবস্থা সবথেকে বেশি খারাপ।

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল, এই চার মাসের হিসাব বলছে, রাজ্যে কর্মক্ষম মহিলাদের মধ্যে ২৬ শতাংশ বেকার ছিলেন। ২০২১-এ একই সময় তা পৌঁছেছে ৪৯.৮ শতাংশে। এই অবস্থা যে শুধু করোনার জন্য হয়েছে, তা নয়। মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছে। গতবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কর্মক্ষম মহিলাদের প্রায় ৪১ শতাংশ বেকার ছিলেন।

রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, নির্বাচনের ফল ঘোষণা, তারপর সরকার গঠন হয়েছে মে মাসে। মাসের শেষে এল ঘূর্ণিঝড় যশ। চলছে লকডাউন। তারই জের পড়েছে বেকারত্বের হারে। তবে রাজ্যের টাস্কফোর্সের এক সদস্যের কথায়, নির্বাচন ২০১৬, ২০১৯-এও ছিল। তখন এই অবস্থা হয়নি। ঘূর্ণিঝড় হয়েছে কয়েকটি জেলায়। তাও মাসের শেষ দিকে। রাজ্য সরকারই বলেছে, লকডাউন নয়, আত্মশাসন। গতবছর লকডাউন ছিল, কিন্তু বেকারত্বের হার এই জায়গায় পৌঁছয়নি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in