Cooch Behar: নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৭ লক্ষ টাকা দাবি, অভিযুক্ত TMC নেতা

অভিযোগ, মঙ্গলবার সালিশি সভার নামে অভিযুক্তের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ সাত লক্ষ টাকা দাবি করেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী

ধর্ষণের পর সেই অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রায়ই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায়। এবার শোনা গেল ঘুষ দিয়ে এই ধরনের অপরাধে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। এবারও অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দিকে।

এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সাত লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার দুই নম্বর ব্লকের পুন্ড্রিবাড়ি থানার পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই ঘটনায় পঞ্চায়েত সালিশি সভা ডাকে। সেখানেই সাত লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

গত সোমবার পাতলাখাওয়া এলাকার ১৪ বছরের এক নাবালিকা স্থানীয় একটি মিলে চিঁড়ে ভাঙাতে যায়। তখন মিল মালিক কাদের আলি তার শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কোনওমতে ওই কিশোরী নিজেকে রক্ষা করে বাড়ি ফিরে আসে। পরিবারকে গোটা ঘটনা জানালে তারা যোগাযোগ করেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু ওরাওঁ, পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম রায়, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সালিশি সভার নামে অভিযুক্তের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ সাত লক্ষ টাকা দাবি করেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

এদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুন্ড্রিবাড়ি থানায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত কাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। বিপাকে পড়ে ওই তৃণমূল নেতারা নাবালিকার পরিবারের দিকে আঙুল তোলে।

এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, গোটা রাজ্যে প্রতিদিন এধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইনের শাসন কার্যত ভেঙে পড়েছে।

ছবি - প্রতীকী
'কয়েকদিন পর বামকর্মীরা বলবেন, তাঁদের মেয়ে, ৫০-র বউয়ের ধর্ষণ হয়েছে' - TMC নেতার কুরুচিকর মন্তব্য

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in