

হাঁসখালি ধর্ষণকান্ড নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে ফের দলের অস্বস্তি বাড়ালেন এক তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, তিনি ডান্ডা মারার নিদানও দিয়েছেন। তার এই মন্তব্য শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছেন যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
কী বলেছেন ভগবানগোলার তৃণমূল ব্লক সভাপতি আফরোজ খান? হাঁসখালি 'ধর্ষণকাণ্ড'-র প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় মিছিল করে বামেরা। সেই মিছিল প্রসঙ্গে একটি ভিডিওয় আফরোজকে বলতে শোনা যায়, কয়েকদিন পর হয়তো বামকর্মীরা বলবেন, তাঁদের মেয়ে, ৫০ বছর বউদের ধর্ষণ করা হয়েছে।
তাঁর দাবি, রাজ্যে যে ৩৪ বছর বামেরা ক্ষমতায় ছিল, তখন রাজ্যে অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়েছিল। তা নিয়ে কোনও প্রতিবাদ করেনি। এখন ধর্ষণের ঘটনায় বামেরা রাস্তায় নামছে। আফরোজের কথায়, ‘কিছুদিন পর বলবে আমার মেয়েকে, কিছুদিন পর বলবে আমার ৫০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এইসব করে রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো যাবে না।’
সেখানেই অবশ্যই থামেননি আফরোজ। তিনি আরও বলেছেন, যদি ধর্ষণ হয়ে থাকে, তবে তার প্রমাণ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে জানানো হবে পুলিশকে। তাঁর কটাক্ষ, ‘বামেরা ফালতু-ফালতু মিছিল করেছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঠান্ডা করে দেব। ঠান্ডা করার জন্য ডান্ডার দরকার আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ বেশি উলটোপালটা বললে আমরা রাস্তায় নামব। ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব। ’
তিনি অবশ্য এটাও দাবি করেছেন যে, পদের কোনও মোহ নেই তাঁর। তৃণমূলের সূচনা থেকেই মমতার সঙ্গে তিনি। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম জানান, এরকম মন্তব্যকে দল কোনও ভাবেই সমর্থন করে না। তিনি জানান, কোথায় কোন ‘ছোটোখাটো’ ব্লক সভাপতি কী বললেন, তিনি সেবিষয়ে মন্তব্য করতে চান না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন