কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের তলব করা হল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় দিল্লির ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও কয়লাকাণ্ডে তিনবার তলব করা হয়েছিল মলয়কে। গতবছর অক্টোবর মাসে তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন। চলতি বছরেও তিনি ইডির কাছে হাজিরা দিয়েছেন। এবার নথিপত্র নিয়ে আগামীকাল সকালে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
ইডি সূত্রের খবর, মলয় ঘটককে যেমন কয়লাকাণ্ডে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ঠিক তেমনই তাঁর এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এই মুহূর্তে ইডি আধিকারিকদের নজরে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে, প্রয়োজন হলে সেই আত্মীয়কেও হাজিরা দেওয়ার জন্য ডাকা হতে পারে বলেই জানা গেছে। কয়লা পাচারকাণ্ডের জট খুলতেই একাধিক ব্যক্তিকে তলব করতে চাইছে ইডি।
এদিন একইসাথে তলব করা হয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও। তাঁকেও শুক্রবার সকাল ১১ টায় ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ সুশান্ত তৃণমূলের সাথেই যুক্ত ছিলেন। এমনকী, ২০২১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের নির্বাচনে জিতে পুরুলিয়া জেলার বাঘমুণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন সুশান্ত। যদিও কয়লাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম প্রতিক্রিয়া তাঁর থেকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর নাগাদ পুরুলিয়ায় হওয়া এক সাংগঠনিক সভাতে গিয়ে সুশান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারের অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী গত ১১ জুন পুরুলিয়ার বলরামপুরের জনসভায় গিয়েও বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে সুশান্তর যোগ আছে। এরপরেই কয়লা পাচারকাণ্ডে সক্রিয় হতে দেখা গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল দাবি জানিয়েছে যে, রাজনৈতিকভাবে হারাতে না পেরেই বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা ঢাকতে মরিয়া বিজেপি (BJP)। যাঁদের রাজনৈতিকভাবে হারাতে পারছে না, তাঁদের এজেন্সি দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে। বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে আগে টার্গেট করে নিচ্ছে। তারপর ভুয়ো অপরাধের গল্প বানানো হচ্ছে।"
কুণাল ঘোষ আরও বলেছেন, কয়লা তো কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিল। খনিমন্ত্রক কেন্দ্রের, সিআইএসএফ (CISF) কেন্দ্রের, বিএসএফ (BSF) কেন্দ্রের। দুর্নীতি যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা রোখা গেল না কেন? আর তদন্তই বা এতদিনে হল না কেন?
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।