

সরকারি সংস্থার উচ্চপদে থাকা সত্ত্বেও ঋণ নিতে হল স্ট্যাম্প পেপারে সই করে। কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন ইসিএল কর্তা সভাষ মুখার্জী এমনটাই করেছেন। যা দেখে অবাক হলেন সিবিআই আদালতের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী।
সোমবার কয়লা পাচার কাণ্ডের শুনানি ছিল সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে। শুনানিতেই উঠে আসে অবাক করা তথ্য। সুভাষের আইনজীবী আদালতে জানান, সিবিআই তল্লাশি করে ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল। ঐ ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সুভাষবাবু। একটি স্ট্যাম্প পেপারে সপি করে সেই টাকা নিয়েছিলেন। আদালতে সেই প্রমাণও দেখান তিনি।
আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় চাকরি করেও কেন তিনি রেভিনিউ স্ট্যাম্প পেপারে ঋণ নিলেন? তাও এত বিশাল পরিমাণ অর্থ! অন্যদিকে সিবিআই-র আইনজীবী জানান, অনুপ মাজির কাছ থেকে সুভাষ যে টাকা নিয়েছে তা পরিষ্কার। তিনি ২০ লাখ নয় আরও বেশি পরিমাণে টাকা নিয়েছেন। সোমবার আদালত সুভাষ সহ ইসিএলের আট জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডে ১৪ জুলাই ইডি দপ্তরে তলব করা হয়েছিল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। একইসাথে তলব করা হয়েছিল পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন