CPIM: কাকাবাবুর লেখা ‘চিরকুট’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, এমন কী লেখা আছে সেই চিরকুটে?

বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখছেন, আমরা এই চিরকুট দেখে গর্বিত। পার্থক্য এখানেই। এখানে কোনো চাকরির সুপারিশ নয়। তৃণমূলের মতো কাটমানি নেওয়ার জন্য সুপারিশও নয়।
মুজফফর আহমেদের চিরকুট
মুজফফর আহমেদের চিরকুটগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিরকুট ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাতে সুপারিশ করেছেন 'কাকাবাবু' মুজফফর আহমেদ। চিরকুটটি লেখা হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। ভাইরাল হওয়া চিরকুটের সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসছে। অন্যদিকে শাসক দলের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয় বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছে। সেই সময় চিরকুটে চাকরি হতো। একটি চিরকুটের ছবিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে সিপিআইএম-র প্যাডে চাকরির সুপারিশ করা ছিল। পরে ওই চিরকুট ভুয়ো প্রমানিত হয়।

ফের একবার এই ধরণের একটা চিরকুটের ছবি বাম কর্মী সমর্থকদের ওয়ালে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে তাঁরা রীতিমত গর্বিত। চিরকুটে মুজফফর আহমেদ লিখছেন, "প্রিয় কবিরাজ মশায়, এই সঙ্গে কবি নজরুলের চাকর কুশা সাউর এক্স-রে প্লেট ও রিপোর্ট ইত্যাদি পাঠালাম। আশা করি এই নিরাশ্রয় গরীব লোকটির একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আশা করি আপনি ভালো আছেন। আপনার মুজফফর আহমদ"। চিঠিটি লেখা হয়েছিল ১২ জুন ১৯৫৮ সাল।

ভাইরাল হওয়া চিরকুট
ভাইরাল হওয়া চিরকুটছবি - সংগৃহীত

বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখছেন, আমরা এই চিরকুট দেখে গর্বিত। পার্থক্য এখানেই। এখানে কোনো চাকরির সুপারিশ নয়। তৃণমূলের মতো কাটমানি নেওয়ার জন্য সুপারিশও নয়। একজন অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য সুপারিশ করে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন 'কাকাবাবু'।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জি ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাম আমলে যেসকল শিক্ষক চাকরি পেয়েছিলেন তাদের তালিকা তৈরি করার। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুজফফর আহমেদের লেখা চিরকুটটির ছবি।

মুজফফর আহমেদের চিরকুট
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে আগামী সপ্তাহেই ধর্না মুখ্যমন্ত্রীর

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in