

গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের ৫ জন আধিকারিক। সায়গল হোসেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা। সায়গল হোসেনের মোট সম্পত্তির হদিশ পেতেই সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে গেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
গরু পাচার মামলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিমধ্যেই বহুবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর বাড়িও তল্লাশি করছে সিবিআই। সম্প্রতি কিছুদিন আগে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয় সায়গল-কন্যা। ওই গাড়িতে সায়গলও ছিল, এই ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল।
সায়গলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের কালো টাকার একটা বড় অংশ গচ্ছিত আছে তাঁর কাছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তারক্ষী সায়গলের ডোমকলেই বাড়ি আছে ৩টি। একজন দেহরক্ষীর ৩টি বাড়ি কিভাবে থাকতে পারে! উঠছে সেই প্রশ্নও। সম্ভবত এই কারণেই বুধবার ডোমকল গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাড়িতেই সায়গল হোসেনকে জেরা করেছে সিবিআই। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেরা চলাকালীন কোনও সংবাদমাধ্যমকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর সাথে সায়গল হোসেনের পরিবারকেও জেরা করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি সায়গল হোসেন অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী। অনুব্রত কখন কোথায় যেতেন? কাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন? তাঁদের সাথে কী ধরনের লেনদেন হত? এই সব তথ্য সায়গলের কাছে আছে। অনুব্রতর কালো টাকার উপরেই চলে সায়গল হোসেনের বিলাসবহুল জীবন-যাপন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন