

গত শনিবার ছিল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসএলএসটি চাকরীপ্রার্থীদের আন্দোলনের হাজারতম দিন। সেই দিন এক মহিলা চাকরীপ্রার্থী নিজের মাথা মুড়িয়ে ফেলেন। এরপর চাকরীপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাতে যান কুণাল ঘোষ। চাকরীপ্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছিলেন সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। সেই মতো কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় সোমবার বিকাশ ভবনে হয়ে গেল চাকরীপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক।
আগামী ২২ ডিসেম্বরে আবারও বৈঠক হবে। তবে জট আদৌ কাটবে কিনা তা সময়ই বলবে। এদিন বৈঠক শেষে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন - ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আইনি জট কাটিয়ে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এখন জানতে চাই সেই ফল কবে পাবো! তার তারিখ চাই। আলোচনায় বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে, তার রিপোর্ট দিতে হবে। আপাতত ২২ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট পেশের দিন ঠিক হয়েছে। ওই দিন মিটিংয়েই আমরা এ বিষয়ে জানতে পারবো।’’
অন্যদিকে, বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “আইনি জট মিটলেই নিয়োগ শুরু হবে। আগামী ২২ তারিখ আশা করা হচ্ছে জট কেটে যাবে। তার আগে ১৪ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানির দিন রয়েছে। আমরা আমাদের দিক থেকে সবটা দিয়ে চেষ্টা করব। আদালতের নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ওই ৫৫৭৮ জনকে নিয়োগ করানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীই নিয়োগ করবে।“
আজকের এই বৈঠকে বিকাশ ভবনে উপস্থিত ছিলেন, তৃনমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবয়ে তিনি আজকের এই বৈঠকে সরকারে তরফ থেকে নয়, মধ্যস্থতাকারী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। যেহেতু এসএলএসটির নিয়োগপত্র পর্ষদ দেয়, তাই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে তাঁকে। এছাড়াও ছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, শিক্ষসচিব মণীশ জৈনও।
এখন দেখার আগামী ২২ তারিখ এই মামলার জট খোলে কিনা!
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন