
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল মেখলিগঞ্জের বর্তমান বিজেপি নেতা মনোজ কুমার রায়ের। আদালতের নির্দেশে কমিশনের পেশ করা ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে ওই নেতার নামও রয়েছে। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মনোজ কুমার অবশ্য ওএমআর শিটের কথা অস্বীকার করেছেন।
রাজ্যজুড়ে একেরপর এক ভুয়ো শিক্ষকের খোঁজ মিলছে। অনেকের ইতিমধ্যেই বিদ্যাল্যে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ নানান অসুবিধার কারণ দেখিয়ে বিদ্যালয়ে পড়ানো স্থগিত রেখেছেন। মনোজ কুমার রায়ও ভুয়ো শিক্ষকদের মধ্যে একজন। তিনি মেখলিগঞ্জের উপেন চৌকি হাইস্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে একটি শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষায় ২০টির-ও কম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করা যায় কীভাবে?
মনোজ কুমারের দাবি, তিনি আরও বেশি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যে ওএমআর শিট দেখানো হয়েছে সেটা ওনার নয়। অন্য কারুর। বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ তিনি (মনোজ কুমার রায়) বেআইনি ভাবেই চাকরি পেয়েছেন। তাই আর তাঁকে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে দেওয়া উচিত হবে না।
সিপিআই(এম) মুখপত্র গণশক্তি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বিজেপি নেতাই একসময়ে তৃণমূলের নেতা ছিলেন। সেই সময়ই তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন এই মনোজ। তাঁর সাথে ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ভালো সম্পর্ক। নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরেই মনোজ কুমার বিজেপিতে যোগদান করেন।
অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে রোশনারা বেগমেরও ওএমআর শিটের সন্ধান মিলেছে। কালিগঞ্জ হাইস্কুলে তিনি কর্মরত ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, এবিষয়ে আমরা বেশিকিছু জানিনা। আমাদের কাছে কোনো নির্দেশিকা আসেনি। তবে রোসনারা বেগম কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসছেন না।
ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের নাম। তিনি রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি সোনারপুরের চৌহাটি হাইস্কুলের ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। পূর্বে তিনি কোদালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ওএমআর শিটের ব্যাপারে তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন