

দলীয় নেত্রীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা তরুণ সামন্তকে। বিষ্ণুপুর সাংগাঠনিক জেলার সম্পাদক ছিলেন তরুণ। এই অভিযোগ ওঠার পর বেশ কিছুদিন পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারিতে সোনামুখি এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি। আইন আইনের পথে চলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
তরুণ সামন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করছিলেন দলেরই এক নেত্রীকে। পুলিশকে একাধিকবার নালিশ জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। অবশেষে, গত ২৩ জানুয়ারী আত্মহত্যা করেন নির্যাতিতা। সন্ধ্যায় দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় নেত্রীর ঝুলন্ত দেহ।
এক সময় দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক তরুণ সামন্ত। তখনই ওই বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। অভোযোগ, মহিলাকে দলে ভাল জায়গা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই নেতা। সেই টোপ দিয়েই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় বেশ প্রভাব রয়েছে তরুণের।স্থানীয় মানুষের ধারণা, অবসাদে, অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন