BJP: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হয়েছে - রুপার পর আরও এক বিজেপি নেত্রী সরব নেতৃত্বের বিরুদ্ধে

অভিনেত্রীর সাফ বক্তব্য, 'আমি তো সেভাবে ইস্তফা দিইনি। মোদিজির প্রতি টান থাকলেও বিজেপির এখনকার পরিবেশ ভালো লাগছে না।'
দেবিকা মুখোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
দেবিকা মুখোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ফাইল চিত্র
Published on

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টাকার খেলা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হওয়ার পর একই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা রাজ্যসভার সংসদ রূপা গাঙ্গুলী। এই বিক্ষোভের তালিকায় নাম লেখালেন আর এক অভিনেত্রী দেবিকা মুখোপাধ্যায়। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর 'ছোট বউ' সিনেমার মাধ্যমে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে খ্যাতি পাওয়া দেবিকার এই বিস্ফোরক মন্তব্যে জোর তরজা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বলেন, 'মোদিজিকে দেখে রাহুল সিনহার হাত ধরে যোগ দিয়েছিলাম। আমায় পুরভোট (২০১৫) ও বিধানসভা ভোটে (২০১৬) প্রার্থী করা হয়। কিন্তু হেরে যাই। যদিও তখন দলের এক নেতা বলেছিলেন, যা ভোট পেয়েছো, যথেষ্ট। সেই সময় লকেট-রূপাও হেরেছিলেন। তারপর অনেক খেটেছি। কিন্তু, এবার বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দিল না। আমি বঞ্চিত'।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কলকাতা পুরভোটে ১০৯নং ওয়ার্ডে ও পরের বছর বাদুড়িয়ায় বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। বিজেপিতে থাকা নিয়ে অভিনেত্রীর সাফ বক্তব্য, 'আমি তো সেভাবে ইস্তফা দিইনি। মোদিজির প্রতি টান থাকলেও বিজেপির এখনকার পরিবেশ ভালো লাগছে না।'

প্রসঙ্গত, ক'দিন আগে ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'প্রার্থী তালিকা তৈরিতে টাকার খেলা রয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তো এটা ঘটেছে। আমার কাছে প্রমাণও রয়েছে।' সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। তাঁর স্বামী গৌরব ওই ওয়ার্ডে পুরভোটের বিজেপির প্রার্থীপদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাঁকে বিজেপি টিকিট দেয়নি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

দেবিকা মুখোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
Tathagata Roy: পুরভোটে বিজেপির ভরাডুবির জন্য ‘অসৎ-লম্পট চক্র’কে দায়ী করলেন তথাগত

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in