
বরাবরই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন। তাঁর মন্তব্যে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয় দলকে। এবার আবারও বোমা ফাটালেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। পুরভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরেই আবারও স্বমহিমায় তথাগত রায়। একের পর এক ট্যুইট। বলা বাহুল্য প্রত্যেকটি ট্যুইটেই তিনি তুলোধোনা করেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
টুইটে তিনি লেখেন, “সব দোষ তৃণমূলের ওপর চাপানো ঠিক নয়। বিজেপি সঠিক অর্থে এই রাজ্যে বিরোধী হয়ে উঠতে পারছে না। কাটমানি–সিন্ডিকেট–দুর্নীতিতে নিমজ্জিত অসৎ দল কখনো টিকতে পারে না। শুধু তার জায়গা নেবার কেউ নেই বলেই এখনো তারা দাপিয়ে যাচ্ছে।”
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ৩ ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে বিজেপি। উল্লেখযোগ্য হারে ভোট কমেছে। বামেদের থেকেও পিছিয়ে গিয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। ভোটের শতাংশেও বামেরা দ্বিতীয়। প্রায় ৬৫ টি ওয়ার্ডে তারা তৃণমূলের ঠিক পরেই।
এই প্রসঙ্গে তথাগত রায় লিখেছেন – “একটা দল ভেঙে পড়েও আবার উঠে দাঁড়াতে পারে যদি তার ইচ্ছা থাকে। তার জন্য হারের বিশ্লেষণ করতে হয়, course correction করতে হয়। সিপিএম ঠিক এইভাবেই ২০০১ সালে জ্যোতিবাবুকে খারিজ করে সাফল্য পেয়েছিল। এই পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রচুর কারচুপি করেছে, কিন্তু শুধু তা দেখলেই হবে না।”
শুধু তাই নয়, দলের ‘অসৎ-লম্পট চক্র’কে এই ভরাডুবির জন্য তিনি দায়ি করেছেন। অন্য একটি ট্যুইটে লিখেছেন – “শতাংশের হিসেবে তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়। বিধানসভা নির্বাচনে যে বিপর্যয় হয়েছিল এটা তারই প্রসারণ। যদি দল তার পরে আত্মানুসন্ধান করত এবং যে অসৎ-লম্পট চক্র এর জন্য দায়ী তাকে নির্মমভাবে অপসারণ করত তাহলে কর্মীরা উজ্জীবিত হত, পুরসভার ফল এর চেয়ে অনেক ভাল হতে পারত। কিন্তু তার বদলে হয়েছে ‘তিন থেকে সাতাত্তর’, তৃণমূলের শয়তানির উপর সব দোষ চাপানো, এবং সবশেষে এক গর্দভসুলভ ‘সৌজন্য’।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন