Birbhum: জেলে অনুব্রত, ভয়ে বন্ধ হচ্ছে শতাধিক অবৈধ খাদান, কর্মহীন প্রায় ১ লাখ শ্রমিক

রাতারাতি খাদানগুলি বন্ধ হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি কোনোভাবে প্রভাব ফেলেছে খাদানগুলির ওপর? বর্তমানে খাদান মালিকেরাও খাদান চালাতে ভয় পাচ্ছেন।
বীরভূমে বন্ধ হয়ে গেল অবৈধ পাথর খাদান
বীরভূমে বন্ধ হয়ে গেল অবৈধ পাথর খাদানফাইল ছবি
Published on

রাতারাতি দেউচা পাঁচামি সহ বীরভূমের একাধিক জায়গায় বন্ধ হয়ে গেল শতাধিক পাথর খাদান। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ১ লাখ শ্রমিক। অভিযোগ, এই পাথর খাদানগুলি অবৈধভাবে চলত।

পুজোর আনন্দে মেতেছে বাঙালি। মাত্র এক মাস বাকি পুজোর। আর এর মধ্যে কাজ হারালেন প্রায় ১ লাখ শ্রমিক। জানা গেছে বহু বছর ধরেই রমরমিয়ে চলত বন্ধ হয়ে যাওয়া পাথর খাদানগুলি। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে খাদানগুলির বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণ মামলা করা হয়। ফলে জারি করা হয় নতুন সার্কুলার। তাতে দেখা যাচ্ছে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে ২০০-র বেশি পাথর খাদানকে। মাত্র ছ’টি খাদানের কাছে বৈধ নথি আছে।

রাতারাতি খাদানগুলি বন্ধ হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি কোনোভাবে প্রভাব ফেলেছে খাদানগুলির ওপর? অবৈধ খাদান মালিকেরাও খাদান চালাতে ভয় পাচ্ছেন। মূলত রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই আতঙ্কে আছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, খাদান মালিকদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার আশঙ্কায় আছেন তাঁরা। তাই অবৈধ খাদান আর চালাতে চাইছেন না তাঁরা। শোনা যাচ্ছে সহস্রাধিক ক্রাশারও অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যদিকে কয়লা খনি প্রসঙ্গে বারবার দেউচা পাঁচামির নাম উঠে এসেছে। প্রস্তাবিত কয়লা খনির বিরোধিতা করে বহুদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন ঐ অঞ্চলের বাসিন্দারা। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন যতদিন না এই প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে ততদিন গণঅনশন চালিয়ে যাবে তাঁরা। আন্দোলনের এক নেতা জানিয়েছেন, "আমাদের মূল দাবি অবিলম্বে এই খোলা মুখ কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল করতে হবে। ২১ জুলাই তৃণমূলের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, দেউচা পাঁচামিতে কয়লা খনি শুরু হয়ে গেছে। অথচ এলাকার ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ খনি চান না।"

বীরভূমে বন্ধ হয়ে গেল অবৈধ পাথর খাদান
বিধায়ক জুনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মন্ত্রী মাহাতোকে - নির্দেশ ক্ষুব্ধ মমতার

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in