BJP: শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ! মতুয়া বিদ্রোহে দুই শিবিরে বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি

জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়কদের একটা অংশ। দু'জন বিধায়ক সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর ফাইল চিত্র
Published on

বিজেপির ঘরের দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্যে চলে আসছে। আরও প্রকট হচ্ছে বিজেপির নব গঠিত রাজ্য কমিটি নিয়ে। মূলত এবারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয় এই কমিটিতে মতুয়াদের প্রাধান্য না দেওয়া। নদিয়ার যে এলাকা মতুয়া অধ্যুষিত বলে পরিচিত, সেখানে বিধায়করা দুই দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এখানকার বিধায়কদের একটা অংশ। দু'জন বিধায়ক সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করেছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা।

এদিকে বৈঠকে যোগ দেওয়া বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, অসীম সরকার বর্তমানে কী অবস্থায় নিচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয়। রানাঘাট বিজেপি সাংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। যদিও তিনি এক্ষেত্রে মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেননি। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে কোন্দল এখন এতটাই স্পষ্ট যে, পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হয়েছে দল।

শান্তনু ঠাকুর অবশ্য এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা বলে পরিচিত রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে ফোন বা মেসেজেও যোগাযোগ করা যায়নি। মুকুটমণি অধিকারীকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারের ফোন প্রায় সারাদিনই সুইচড অফ ছিল।

দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির দূত হয়েই ওই কমিটিতে যাওয়া। ফিরে রাজ্য কমিটিতে সব কিছু জানিয়েও দিয়েছেন। ওই বৈঠকে কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় যান বলে খবর। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করে বলেন বলেছেন, 'আমি নয়, গিয়েছিলেন মুকুটমণি অধিকারী।' কেন যাননি, প্রসঙ্গে বলেন, 'সাংগঠনিক বিতর্ক সংবাদমাধ্যমের সামনে আনাকে আমি সমর্থন করি না।'

প্রসঙ্গত, মতুয়া বিধায়ক আছেন কল্যাণী ও হরিণঘাটা, রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার মতুয়া সম্প্রদায়ের।

অম্বিকার বক্তব্য, রাজ্য কমিটিতে জগন্নাথ সরকার রয়েছেন। আবার এটাও ঠিক যে,আরও দু-একজনকে নেওয়া যেত। সেটা সাংগঠনিক বিষয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।' তাঁর মতে, মতুয়াদের ক্ষোভ মেটানোর রাস্তা আছে।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর
বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে 'লেফট' শান্তনু-সুব্রত তৃণমূলে! মমতাবালার মন্তব্যে জল্পনা শুরু

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in