
ওড়িশার এক গয়নার দোকান থেকে ১০০ গ্রাম সোনা চুরির অভিযোগ উঠল রাজ্যের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতাকে গ্রেফতারও করেছে ওড়িশা পুলিশ। আর আই ঘটনার পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। এই নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যদিও পাল্টা বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত বর্তমানে দলের কোনও পদে নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগে ওড়িশার জলেশ্বরের একটি সোনার দোকান থেকে ১০০ গ্রাম সোনা চুরি করে পালাতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা সোমনাথ সাউ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেন, এই সোমনাথ সাউ হবিবপুরের বিজেপি যুব মোর্চার নেতা। ২৫ লক্ষ টাকার গয়না চুরি করার সময় ওড়িশা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সোমনাথের একাধিক ছবি সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোমনাথের দুটি ছবি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘‘কাদের সঙ্গে তার ছবি আছে দেখুন। সিসিটিভি ফুটেজে চুরির দৃশ্য আছে। সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়েরা তাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশে দেয়"।
যদিও বিজেপির দাবি অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ‘‘ওই যুবক একসময় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এটা ঠিক। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগ নেই"। দলের নেতাদের তালিকায় সোমনাথের নাম থাকা নিয়ে অরূপের ব্যাখ্যা, ‘‘নতুন জেলা কমিটি হয়নি বলেই ওঁর নাম হয়তো থেকে গিয়েছে। খুনি-ধর্ষকদের দল তৃণমূলের মুখে এ সমস্ত অভিযোগের কথা মানায় না"।
এরপরেই কসবার ল কলেজের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘ওদের ছাত্রনেতা ওদের দলেরই ছাত্রনেত্রীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ করেন। নদিয়ায় ওদের ছোড়া বোমায় ১১ বছরের নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন