

উত্তর দমদমের দুর্গানগরে সিপিআই(এম)-র সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার, সিপিআই(এম) বিরাটি-বিশড়পাড়া পশ্চিম এরিয়া কমিটির উদ্যোগে দুর্গানগর পোস্ট অফিসের কাছে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভার মূল দাবি ছিল 'চোর ধরো, জেল ভরো'। সিপিআই(এম)-র অভিযোগ, সভা চলাকালীন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হঠাৎই সেখানে হামলা চালায়। সভাস্থলে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে ক্রমাগত বাঁশ, লাঠি, সভার চেয়ার ছুঁড়তে থাকে তারা। প্রচুর চেয়ার ভাঙা হয়েছে। জানা গেছে এই হামলার কারণে আহত হয়েছেন প্রায় ১৬ জন সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থক।
সূত্রের খবর, স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতা পিন্টু চক্রবর্তী, তপন পাত্র, মানিক সরকার, অপূর্ব হোড় সহ আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। বাদ যাননি মহিলারাও।
বিরাটির মতো জনবহুল এলাকায় আচমকা হামলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনার ফলে সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী থেকে পথচলতি জনগণ সকলের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়ায়। ভীত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন লোকজন। হইচই পড়ে যায় সারা এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে এলাকার দোকানদাররা তাঁদের দোকান বন্ধ করে দেন।
সিপিআই(এম)-র দাবি, হামলার ঘটনার পর তাঁদের কর্মীরাই একজোট হয়ে দুষ্কৃতীদের থামান। তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার রাতেই নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিআই(এম)। পাশাপাশি সেদিন রাতেই থানার সামনে পথ অবরোধ করেন সিপিআই(এম) কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস জানান, হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। পিন্টু চক্রবর্তীর অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জনা বসু, তৃণমূল নেতা দীপক বসু এবং কিশলয় বসুর নেতৃত্বে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও জানান, পুলিশ যদি আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন