Anubrata Mondal: অনুব্রতর নামে-বেনামে সম্পত্তির হদিশ পেতে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে হানা CBI-র

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি অফিসে জমির দাগ নম্বর ধরে ধরে সেগুলির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাচাই করছে সিবিআই। দফতরের রেকর্ড রুমেও ঢুকতে দেখা গেছে তাঁদের।
অনুব্রত মণ্ডল
অনুব্রত মণ্ডল গ্রাফিক্স - নিজস্ব
Published on

অনুব্রত মণ্ডলের নামে-বেনামে সম্পত্তির হদিশ পেতে এবার বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে হানা দিল সিবিআই। তবে শুধু অনুব্রতই নয়, তার আত্মীয়দের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির দিকেও নজর রেখেছে সিবিআই।

গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। যে কারণে, মঙ্গলবার সকালেই বোলপুরের নেতাজি বাজারের জমি রেজিষ্ট্রি অফিসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

সেখানকার হেড ক্লার্ক সামসের আলি সংবাদমাধ্যমে জানান - বোলপুর, ইলামবাজার এবং পাড়ুইয়ের একাংশে যে জমি বিক্রি হয়, তার রেজিস্ট্রি হয় ওই অফিসে। জমির ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই নাম ও তথ্য সেখানে জমা থাকে। একই নিয়ম মেনে লিজ নেওয়া জমির রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এছাড়াও, জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে যার নামে জমি মালিকানায় তাঁর নাম হিসেবে সব তথ্য জমা থাকে রেজিস্ট্রি অফিসে।

সূত্রের খবর, এদিন রেজিস্ট্রি অফিসে জমির দাগ নম্বর ধরে ধরে সেগুলির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাচাই করছে সিবিআই। দফতরের রেকর্ড রুমেও ঢুকতে দেখা গেছে তাঁদের। অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যস্থতায় কোন এলাকার জমি কাদের হস্তান্তর করা হয়েছে, এই সব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গতকালই বোলপুরের শিব শম্ভু রাইস মিলে হানা দিয়েছিল সিবিআই। যদিও সেই রাইস মিলের মালিক অনুব্রত মণ্ডল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। চারদিনের সিবিআই হেফাজত শেষে আগামীকাল ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর আগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে যথেষ্ট জোরালো তথ্যপ্রমাণ পেতে তৎপর সিবিআই।

সিবিআই-র তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গোরু পাচারের কারবার ফুলে ফেঁপে উঠেছিল৷ আর ওই সময়ই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ৷ ফলে, অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা জমি বা সম্পত্তিগুলির হস্তান্তর ঠিক কোন সময়ে হয়েছিল, তাও জানতে চায় সিবিআই৷

অনুব্রত মণ্ডল
দুর্নীতির পাহাড় সামনে আসছে, তাই উনি 'ওদিকে' তাকাতে বারণ করছেন - মমতার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া সেলিমের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in