গরু পাচারকান্ডে সিবিআই তলব, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল

ভোট-পরবর্তী হিংসায় দুবার সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সেবারও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান। যদিও তা মানতে চায়নি সিবিআই। এরপরে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন অনুব্রত।
অনুব্রত
অনুব্রতফাইল চিত্র
Published on

ফের সিবিআইয়ের ডাকে হাজিরা দিলেন না অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছিল তাঁকে। আজ নিজাম প্যালেসে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এর আগের বারও তাঁকে তলব করা হলে শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বারবার যেভাবে সিবিআইয়ের তলব এড়ানোর জন্য শারীরিক অসুস্থতার কারন দর্শাচ্ছেন, তাতে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গরু পাচার কাণ্ডে প্রথমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তলব করে অনুব্রতকে। তখনও তিনি শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে হাজিরা হননি। ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুনরায় হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয় সিবিআইয়ের পক্ষে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর পক্ষে তাঁর আইনজীবী নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করে শারীরিক অসুস্থতার বিষয় জানাবেন। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, বীরভূমের জেলা সভাপতি চাইছেন বোলপুর বা তার কাছাকাছি এলাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তা সম্ভব কিনা সেব্যাপারে তাঁর আইনজীবী সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানাতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় দুবার সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত। সেবারও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান। যদিও তা মানতে চায়নি সিবিআই। এরপরে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন অনুব্রত। গ্রেফতারি এড়াতে তার ঠিক পরেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাঁকে গ্রেফতার না করার রক্ষাকবচও পেয়ে যান তিনি। ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে গরু পাচার মামলায় রক্ষাকবচের জন্য সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অনুব্রত কোনও আবেদন করেননি।

অনুব্রত
TMC: আনুগত্যের পুরস্কার পেলেন অনুব্রত মণ্ডল, জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ সৌগত, কল্যাণরা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in