পুলিশ হেফাজতে বন্দিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, নরেন্দ্রপুর থানার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা

পরিবারের অভিযোগ, ১৩ এপ্রিল মৃত বন্দি সাহেব সর্দারকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে আসে। কিন্তু কোন অপরাধে তাঁকে ধরা হয় তা তখন জানা যায়নি। এখন বলছে ওর মৃত্যু হয়েছে।
নরেন্দ্রপুর থানা
নরেন্দ্রপুর থানাছবি - সংগৃহীত

পুলিশ হেফাজতে বন্দির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে পরিবারের সদস্যরা।

রাজ্যে পুলিশ হেফাজত মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানাতেও একই ঘটনা ঘটলো। পরিবারের অভিযোগ, ১৩ এপ্রিল মৃত বন্দি সাহেব সর্দারকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে আসে। কিন্তু কোন অপরাধে তাঁকে ধরা হয় তা তখন জানা যায়নি। এখন বলছে ওর মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।

মৃত বন্দির দাদা বলেন, পুলিশের উচিত ছিল আমাদের জানিয়ে ওকে গ্রেপ্তার করা। কিন্তু সেটা করেনি। পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে আমার ভাইয়ের। ও যদি অন্যায় করে তার বিচার করবে আদালত। পুলিশ কীভাবে মেরে ফেলতে পারে? আমাদের কাছে টাকাও চাওয়া হয়েছিল। মোট ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। পরে আরও টাকা চেয়েছিল কিন্তু তা দেওয়ার আগেই মৃত্যু হল আমার ভাইয়ের।

পুলিশের অবশ্য দাবি, পুলিশ লক-আপেই ওই বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল সোনরপুর হাসপাতালে। পরে ভর্তি করা হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। চুরির দায়ে সাহেব সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর আগেও অন্যান্য থানা তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। একাধিক অভিযোগ ছিল সাহেবের নামে। পুলিশের মারে মৃত্যু হয়নি।

পুলিশ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ পিঠিয়ে মারছে একজন বন্দিকে এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা। প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাবো। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবো।

নরেন্দ্রপুর থানা
দাবদাহের মাঝেই রাজ্যজুড়ে তীব্র জলের সংকট; জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ

GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in