
গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যার জেরে বেকায়দায় পড়েছে দল। দলের বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃত্ব কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁদের বক্তব্য গ্রেপ্তারের পরে কেন তিনি মমতা ব্যানার্জির নাম উল্লেখ করলেন!
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আপাতত দল তার পাশেই আছে। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এর পাশাপাশি দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরে মমতা ব্যানার্জী নাম কেন নিলেন। এতে দলের ভাব মূর্তি আরো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার দাবি করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধীদেরকে আক্রমণ করা সুযোগ করে দিচ্ছে। ফিরাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছিলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। তাই সে কীভাবে যোগাযোগ করবেন।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছিলেন, এই গ্রেপ্তারের সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই। মমতা ব্যানার্জি এসবের কিছুই জানেন না। তাই অকারণে নেত্রীর নাম নেওয়া উচিত হয়নি। পার্থর মুখ খোলা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, "শুধু পার্থ কেন তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিবাজ। তদন্ত ঠিকমতো যদি হয়, আজকে পার্থর যা হাল হয়েছে কাল মুখ্যমন্ত্রীর সেই হাল হওয়া উচিত"।
প্রসঙ্গত, ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নেত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পাইনি ফোনে। সূত্রের খবর তিনি মমতাকে চার বার ফোন করেছিলেন। একবারও তৃণমূল সুপ্রিমো সেই ফোন তোলেননি।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশমতো সোমবার সকালে পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফ থেকে। তাঁর সাথে থাকবেন নিজের আইনজীবী ও এসএসকেমের একজন চিকিৎসক। এসএসকেএম ও জোকা ইএসআই-এর ভিন্ন রিপোর্ট থাকায় এমন রায় দিয়েছে আদালত। ভুবনেশ্বরে পার্থর নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, এন্ডোক্রিনোলজি ও রেসপিরেটরি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন