

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকালই সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বেশ কিছু 'নথি পোড়ানোর' অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
সুবীরেশের গ্রেফতারির পর সোমবার নিজস্ব ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যেখানে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরে চার-পাঁচজন ব্যক্তি বেশকিছু কাগজপত্র পোড়াচ্ছে। যদিও এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
ভিডিও পোস্ট করে ট্যুইটে সুকান্ত লেখেন, "উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কী? কিসের তথ্য গোপন করতে কী কী নথি জ্বালিয়ে ফেলা হলো? উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো, প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘটনার তদন্ত দাবী করছি।"
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন মোট নয়জন। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের জেরে অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। তার উপর এই ভিডিও যেন বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল।
সূত্রের খবর, আজই (মঙ্গলবার) সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে তোলা হতে পারে আদালতে। সেখানেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এস পি সিনহা এবং অশোক সাহার বয়ানের ভিত্তিতে এর আগেও একাধিকবার সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। গত ২৫ আগস্ট তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর ফ্ল্যাটটি সিল করা হয়েছে। তল্লাশি চালানো হয়েছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিলিগুড়িতে সুবীরেশের বাসভবনেও। তবে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের দাবি, তাঁর আমলে শিক্ষক নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি থাকলেও থাকতে পারে।
এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এরা সকলেই যে দুর্নীতি করেছেন তা প্রমাণিত, এটা এখন আর তদন্ত সাপেক্ষ নয়। এদের ওপরওয়ালা একজন, তিনি হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা দরকার। নাহলে তদন্তের সঠিক পরিণতি হবে না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন