

"দিদি-মোদি সমঝোতা প্রাচীন। দিদি মোদি-বন্দনা করে দলের চোরদের, নিজের পরিবারকে বাঁচাতে চাইছেন। ধীরে ধীরে মানুষের কাছে দিদির স্বরূপ খুলছে। সিবিআই ও ইডি তদন্ত করছে কোর্টের নির্দেশে। তাই বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করিয়ে বিশেষ কিছু লাভ হবে না। একথা মুখ্যমন্ত্রী ও মোদি দুজনেই জানেন।" মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী কিছু জানেন না। আজ বিধানসভায় এই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে না। এইগুলির দায়িত্বে থাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই আমার বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানেন না। কলকাতায় ২১টা রেড করেছে ইডি। এক মাসে ১০৮টা কেস করেছে ইডি সিবিআই। আমি বিশ্বাস করি না নরেন্দ্র মোদী এটা করেছেন। সবটাই হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের বিজেপি নেতাদের নির্দেশে।"
আজ সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে দলের এক আভ্যন্তরীণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকে সর্ব সম্মতিতে রাহুল গান্ধীকে এআইসিসি সভাপতি পদের জন্য ভাবা হয়। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তিনি বলেন, "মমতা সব সময় এইভাবেই রাজনীতি করেছে। এক সময় বলত কেরালার সিপিআইএম ভালো বাংলার সিপিআইএম খারাপ। এখন বিপদে পড়েছে তাই মোদী আর মোহন ভগবতের কাছে ছুটে যাচ্ছে। দু’দিন পর অমিত শাহের কাছে যাবে। তৃণমূলের চুরি-দুর্নীতি ধরা পড়ে গেছে। তৃণমূলের এই দুর্নীতি বাড়ত না যদি না মাথার ওপর আরএসএস বা বিজেপির হাত থাকত।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন