বিডিও পালাচ্ছে! আর কিছুদিন বাদে জনগণের ক্ষোভে তৃণমূল-বিজেপিও পালাবে: সেলিম

বিজেপি-তৃণমূলের মেকি ছদ্মযুদ্ধ, যোগসাজশ মানুষ বুঝে গেছে। তাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, প্রশ্ন তুলছে। - সেলিম
মহম্মদ সেলিম
মহম্মদ সেলিম নিজস্ব চিত্র

বিজেপি ও তৃণমূলের মেকি ছদ্মযুদ্ধ এবং যোগসাজশ মানুষ বুঝে গেছে। তাই মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, প্রশ্ন তুলছে। এখন ভয় পেয়ে বিডিও পালাচ্ছে, আর কিছুদিন পর ছাত্র-যুব-শ্রমিক-কৃষক সহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভে তৃণমূল-বিজেপিও পালাবে। রানিগঞ্জের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এভাবেই তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

বৃহস্পতিবার, রানিগঞ্জের গির্জাপাড়ায় শহীদ স্মৃতি ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সেলিম। সমগ্র দেশ তথা রাজ্যের অর্থনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা পরিকাঠামো এবং সেই সাথে একের পর এক দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী ৯ জানুয়ারী পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভোট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন - চোর, জোচ্চর, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সেটিংবাজদের কোনও ক্ষমা নয়। বাংলার মানুষের প্রতিবাদ, আন্দোলনকে ওরা ভয় পেয়েছে। সেই কারণেই তৃণমূল-বিজেপি চাইছে আদালত, কোভিড এসবের ভয় দেখিয়ে যেভাবেই হোক পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে না হয়। কিন্তু মানুষ জেদ ধরেছেন, লুটেরাদের তাড়িয়েই মানুষের পঞ্চায়েত গড়বে।

আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, বিজেপি-তৃণমূলের উপরে উপরে যতই ছদ্মযুদ্ধ থাক, লুটে খাওয়াতে সব এক। কেন্দ্রীয় সরকার ভূগর্ভস্থ কয়লাখনি বন্ধ করেছে। খোলামুখ কয়লাখনি গিলে খাচ্ছে জমি। নদীর বেহাল দশা। নাব্যতা কমে গেছে। বেআইনি বালির কারবারের ফলে নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে। দামোদর, অজয় নদে যত্রতত্র গর্ত তৈরি হয়েছে। যার ফলে সমগ্র জীবজগৎ সহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

পঞ্চায়েত দুর্নীতি এবং গ্রামাঞ্চলে মাফিয়ারাজ প্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদের কথায়- বালি চুরি, কয়লা চুরি, লোহা চুরি সব মিলিয়ে সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে। পুলিশ, প্রশাসন, রাজ্যের শাসক দল এবং বিজেপি এই অর্থনীতি চালু রাখতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে যেসব তৃণমূলের নেতারা সিবিআই মামলা থেকে জামিন পেল, মোদী-শাহের মিটিং-র পর অভিযুক্তদের জামিনের বিরুদ্ধে সিবিআই আর আবেদনই করল না।

সম্প্রতি মমতা এবং অমিত শাহের একান্ত সাক্ষাৎ নিয়েও তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক তরজা। সে প্রসঙ্গে সেলিম জানান, বৈঠকে কী আলোচনা হল কেউ জানে না! সীমান্তে পাচারকাণ্ড অব্যাহত, আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা আছে, যেসব দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়ছে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত প্রয়োজন। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে গোপন বৈঠক করলেন। বিজেপি আগে থেকেই বুঝিয়ে দিল মমতাকে সব রকমের মদত দিতে প্রস্তুত।

গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ইডির জেরা প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, এক্ষেত্রে অনুব্রতর জন্য স্থানীয় আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃণমূলের নিম্নস্তর থেকে নবান্ন, সর্বত্র পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকমতো এফআইআর হয়নি। তার ভিত্তিতেই দিল্লি যাওয়া আটকানো হল। পরের দিন দেখা গেল দিল্লির কোর্টে ইডির যেভাবে লড়ার কথা ছিল, ইডি সেটা করলই না।

মহম্মদ সেলিম
দাম্পত্য কলহ মেটানোর নামে লাগাতার ধর্ষণ সাধুবাবার! অপমানে আত্মহত্যা গৃহবধূর
মহম্মদ সেলিম
আদালতে ভর্ৎসনার জের, ৮ মাস পর হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য

GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in