দীর্ঘ আট বছর পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন নেতাই মামলায় একমাত্র মহিলা অভিযুক্ত ফুল্লরা মণ্ডল। শুক্রবার সকালে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল চত্বরের সামনে তাঁকে মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা দেন সিপিআই(এম) মেদিনীপুর জেলা কমিটির নেতৃত্ব।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড়ের নেতাই গ্রামের মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা ফুল্লরা মণ্ডলকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন গ্রেফতার হয়। ফুল্লরা ছিলেন সিপিআই(এম) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। এর পাশাপাশি তিনি সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদস্য ছিলেন। ২০১০ সাল থেকেই লালগড় এলাকায় সন্ত্রাসের কারণে তিনি ঘরছাড়া ছিলেন।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ নেতাই মামলায় ফুল্লরার জামিনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। এরপর জামিন খারিজ হয়ে যায় ফুল্লরার। এরপর গত ২২ আগস্ট সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি অভয় এস ওকা-র ডিভিশন বেঞ্চ ফুল্লরার জামিনের নির্দেশ দেন।
তবে, সোমবার জামিনে মুক্তি পেলেও সুপ্রিম কোর্ট ফুল্লরা মণ্ডলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই পর্যন্ত নেতাইকাণ্ডে জামিন মিলেছে মোট আটজনের।
শুক্রবার জামিন পাওয়ার পর ফুল্লরা বলেন, ‘‘ছাড়া পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আদালতের নির্দেশ মেনে চলব। দল দায়িত্ব দিলে আবার দলের কাজে মনোযোগ দেব।’’
এ প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘মা মারা যাওয়ার সময় জামিন পাননি ফুল্লরা। প্রতিহিংসা কাজ করেছে।’’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী লালগড়ের নেতাই গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ৯ জন গ্রামবাসী। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের নির্দেশে গোড়াতেই তদন্ত শুরু করে সিআইডি। কিন্তু তার তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় তৃণমূল। তদন্ত চলাকালীন সেই বছর ১৮ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্ট সিবিআই-র হাতে তদন্তভার দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় সিআইডি-কে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।