
ঠিক সময়মতোই হবে দলের সাংগাঠনিক রদবদল। বৃহস্পতিবার নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার থেকে স্পষ্টভাবে একথা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, আর জি কর, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা-সহ একাধিক ইস্যুতে এদিন কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ডায়মন্ড হারবারে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি ‘সেবাশ্রয়’ –এর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক রদবদল হবেই। যাঁরা দলের জন্য কাজ করেছেন, তাঁদের চিন্তা করতে হবে না। গাছের পরিচয় তার ফলে। আমি কত দক্ষ, কত অভিজ্ঞ, তা তো ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে’। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই রদবদলের বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দলনেত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। অভিষেকের কথায়, ‘পর পর ভোট এবং উৎসব ছিল। ঠিক সময়েই হবে (সাংগঠনিক রদবদল)’।
উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে দলনেত্রীর উপস্থিতিতেই রদবদলের কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছিলেন, লোকসভায় যেখানে দলের খারাপ ফল হয়েছে, সেই সমস্ত পুর এলাকায় প্রশাসনিক স্তরে রদবদল হবে। সূত্রের খবর, অক্টোবরে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার আগে ৭০টি পুরসভা ও পুরনিগমে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রদবদলের প্রস্তাব মমতার কাছে পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সেই রদবদলের কথা থাকলেও পেরিয়ে গিয়েছে সময়সীমা। এবার ফের তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। যদিও এই রদবদলে কলকাতাকে বাদ রেখেছিলেন তিনি বলে জানা গেছে।
এদিন অভিষেকের বক্তব্যে উঠে আসে আর জি কর প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা বলেছিলেন আর জি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রান্ত করেছেন। আর আজ দেখুন। এই প্রসঙ্গ তারা তুলছেই না’।
অভিষেক জানান, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ৩০০টি স্বাস্থ্যশিবিরে আসা রোগীদের পরিস্থিতি অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হবে। ‘রেফারেল সিস্টেম’-এর মাধ্যমে মোট ১২টি হাসপাতালে রোগীদের পাঠানো হবে। এই ১২ হাসপাতালের তালিকায় এসএসকেএম, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যালের পাশাপাশি আর জি কর হাসপাতালের নামও রয়েছে।
আবাস যোজনা নিয়ে মোদীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারেনি। কারণ প্রকল্পের টাকা আমাদের দেয়নি। প্রমাণ করতে পারলে আমি ক্ষমা চাইব’।
এদিন সেবাশ্রম নিয়ে অভিষেক জানান, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আগামী ৭৫ দিন সেবাশ্রয় কর্মসূচি হবে। ৬-৭ টি বুথপিছু একটি করে স্বাস্থ্যশিবির থাকবে। অভিষেকের কথায়, ‘ভারতে এর আগে এই কাজ করার সাহস কেউ দেখায়নি’। এমনকি অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরও এই ধরণের কাজে এগিয়ে আসার আবেদন জানান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন