

মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সংগঠন যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। সামশেরগঞ্জের পর এবার কান্দিতে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ৫০০ জন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের ভাঙন তো সবে শুরু, এখনও অনেক বাকি।
একসময়ের কংগ্রেসের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল মুর্শিদাবাদ। তবে তৃণমূল ক্ষমতায় আআসার পর থেকে ধীরে ধীরে কংগ্রেস ছেড়ে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ক্ষমতা হারাতে থাকে কংগ্রেস। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল সমস্ত সমীকরণ যেন পাল্টে দিয়েছে। এর আগেও বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। এবার কান্দি ব্লকের হিজল অঞ্চলে ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। এই ৫০০ জনের মধ্যে ছিলেন ২ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও কান্দি ব্লকের অমিত্যা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ১২ জন সদস্য।
তৃণমূলে ভাঙনের পরই অধীর চৌধুরী বলেন, এতো সবে শুরু। কিছুদিন পর দেখা যাবে তৃণমূল দলটাই বাংলা থেকে উঠে গেছে। ওরা জীবাশ্মে পরিণত হয়ে যাবে। আগামীদিনে আরও অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূলে গিয়েছিলাম উন্নয়নের জন্য। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এরা সব জায়গায় দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই দুর্নীতির প্রমাণ মিলছে ধীরে ধীরে। ফলে তৃণমূল দলে থাকা যায় না। তাই কংগ্রেসে যোগদান করা।
যদিও তৃণমূল এই যোগদানে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, একটা বিধানসভা উপনির্বাচন জিতে কংগ্রেস ভাবছে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় চলে এসেছে। এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তৃণমূলের সংগঠনে কোনো প্রভাব পড়বে না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন