

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের বড়সড় ভাঙন তৃণমূলে। কুলতলিতে প্রায় ২৫০০ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন সিপিআইএমে। সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলির উপস্থিতিতে সিপিআইএমে যোগ দেন তাঁরা।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলের পর যেন বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বাম শিবির। উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণবঙ্গ - গ্রামে গ্রামে প্রায়ই তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগদানের খবর সামনে আসছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মনিরতট ও চুপড়িঝাড়া অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সিপিআইএম-র পতাকা হাতে তুলে নিলেন ২৫০০ জন। এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতিও।
তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি রবিউল হক মোল্লা বলেন, "তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী সবাই চোর। চাকরির পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকাও লুঠ করেছে। গ্রামের মানুষ এখন তৃণমূল নেতাদের দেখলেই চোর চোর বলে স্লোগান দিচ্ছে। আগামী পঞ্চায়েতে সিপিআইএমকে ভোট দিয়ে এই চোর তৃণমূলকে হারাতে হবে।"
যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা দলের পুরনো কর্মীদের সম্মান দিতে পারে না। সাথে যে কোনো কাজের জন্য সাহায্য চাইতে গেলে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। আর রাজ্যজুড়ে যা দুর্নীতি করেছে তাতে তৃণমূল ছাড়তেই হতো।
তৃণমূল অবশ্য এই যোগদানে গুরুত্ব দিতে রাজী নয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের হয়ে কোনো সক্রিয় কাজ করতো না ওই কর্মীরা। ফলে সিপিআইএমে গেলেও দলের কোনো ক্ষতি হবে না। পঞ্চায়েতে তৃণমূলে সংগঠন মজবুত আছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন