তেহট্টে ফের সমবায় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা CPIM-র, ধরাশায়ী তৃণমূল

৬৯টি আসনের মধ্যে সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে ৪৯ টি আসনে, তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে ২০টি আসনে। প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি।
সমবায় সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা CPIM-র
সমবায় সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা CPIM-রছবি - সংগৃহীত

নদিয়ার তেহট্টে সমবায় সমিতির নির্বাচনে ফের বামেদের জয়জয়কার। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কৃষি উন্নয়ন সমিতি নিজেদের দখলেই রাখল সিপিআইএম। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ২০টি আসনে জিতেছে। অন্যদিকে নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি।

রবিবার পলাশীপাড়ার ধৌপট্ট কুষ্টিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, ৬৯টি আসনের মধ্যে সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে ৪৯ টি আসনে, তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে ২০টি আসনে। সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৭০০ জনের বেশি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বাম কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল অবশ্য সমবায় সমিতির নির্বাচনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।

সিপিআইএমের স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। এই জয় কেবল সিপিআইএমের নয়, সাধারণ মানুষের জয়। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, কয়েকটি সমবায় নির্বাচন জিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতা যায় না। সমবায় সমিতির থেকে আমাদের কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে তেহট্টের চাঁদেরঘাট সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা। আবার গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই তেহট্টেই অন্য একটি কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনেও তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে বিরাট জয় পায় সিপিআইএম। ওই সমবায়ের মোট ভোটার ছিল ১৭৯৯ জন। আসন ৭২টি। মাত্র ৩৪টি আসনে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয় বিজেপি। কিন্তু খাতা খুলতে পারেনি তারা। সবক'টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিআইএম ও তৃণমূল। সমবায় সমিতিতে ১০টি তফসিলি আসন ছিল। সবক'টিতেই জয় লাভ করে সিপিআইএম। মোট ৭২ আসনের মধ্যে সিপিআইএম পায় ৬৭টি আসন এবং তৃণমূলের ঝুলিতে যায় মাত্র ৫টি আসন।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে নিয়ে বর্তমানে অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক দল। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে তাঁর নাম উঠে আসার পর থেকেই দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল বিধায়ক। স্থানীয় তৃণমূল নেতা-নেত্রীর সাথেও তাঁর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে সিপিআইএমের এই জয় পঞ্চায়েতের আগে কিছুটা হলেও বামেদের অক্সিজেন দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন।

সমবায় সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা CPIM-র
১২ বছর পর বারাসাতে শক্তিবৃদ্ধি বামেদের, বুথ সভাপতি সহ ৪০০ তৃণমূল কর্মী যোগ দিলেন CPIM-এ

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in