বদলির প্রতিবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা করা শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি শিক্ষিকারাও বদলি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে মামলা করেছেন। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে। ওই শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, আত্মহত্যার চেষ্টা, সরকারি নির্দেশ অমান্য সহ একাধিক ধারায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বিধাননগর উত্তর থানায়।
বেতন বৈষম্য, বদলি-সহ একাধিক অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ কখনও নবান্নে, কখনও শিক্ষামন্ত্রীর পাড়ায় আন্দোলনে শামিল হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। ছাড়া পাওয়ার পরেই তাঁদের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন শিক্ষিকাকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বিকাশ ভবনের সামনে জমায়েত হন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। পুলিশ আটকালে ধস্তাধস্তি হয় দু-পক্ষের মধ্যে। মঙ্গলবার আচমকাই কয়েকজন শিক্ষিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
অভিযোগ, দিনের পর দিন আন্দোলন করেও কাটেনি বেতন বৈষম্য। বদলির সমস্যারও সমাধান হয়নি। মঙ্গলবার আন্দোলনের পর বিকাশভবনে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন। বলেন, বদলির সমস্যা চিরদিনের। দূরে পোস্টিং এগুলি সব জায়গায় আছেন। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, যাতে কাছাকাছি পোস্টিং হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, সরকারকে নিশানা করে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিষ খাওয়াকে সমর্থন করি না। চাকরি প্রার্থীদের কথা শোনার কেউ নেই। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সরকার প্ররোচনা দিচ্ছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।