
বৃহস্পতিবার বজ্রপাতের জেরে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মৃতদের মধ্যে বাঁকুড়ার সাতজন, পূর্ব বর্ধমানের পাঁচজন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের একজন রয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবাত ও নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে জেলায় জেলায়। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয় বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে। সঙ্গে বজ্রপাত। যার জেরে কোতুলপুর, ওন্দা, ইন্দাস ও জয়পুরে-সহ নানা জায়গায় পৃথক পৃথক ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দু'জন।
জানা গেছে, ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই মাঠে ধান রোপণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে কোতুলপুরের খিরি গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক মোল্লার (৫০)। আহত আসপিয়া মোল্লা নামের একজন। বজ্রপাতের সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান তাঁরা। পরে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জিয়াউলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত আসপিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, মাঠে ধান রোপণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ওন্দার নারায়ণ সাওয়ার (৪৮)। ইন্দাসেও ইসমাইল মণ্ডল (৬০) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত একজন। এছাড়া জয়পুর থানার খড়িকাশুলি গ্রামে মৃত্যু হয়েছে উত্তম ভুঁইয়া (৩৮) নামের একজনের।
পূর্ব বর্ধমানে একই ভাবে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। তাঁদের এক জন সনাতন পাত্র (৬০) মাধবডিহির বাসিন্দা। আর এক জন আউশগ্রামের সঞ্জয় হেমব্রম (২৮)। জানা গেছে, মামার জমিতে ধান রোয়ার কাজ করতে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। এদিকে বাজ পড়ে ভাতারে আহত হয়েছেন চারজন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রামে লাহিরগঞ্জে লক্ষ্মীকান্ত পান (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন