বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দেশছাড়া করা হচ্ছে! মহারাষ্ট্রের ঘটনা টেনে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার

People's Reporter: সম্প্রতি রাজ্য থেকে মুম্বাইয়ে কাজে যাওয়া তিন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে পুলিশ। এরপর পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে না জানিয়ে তাঁদের বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিন পরিযায়ী শ্রমিক (বাঁদিকে), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডানদিকে)
তিন পরিযায়ী শ্রমিক (বাঁদিকে), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডানদিকে)ছবি - সংগৃহীত
Published on

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দেশছাড়া করা হচ্ছে! সোমবার বিধানসভায় মহারাষ্ট্রের ঘটনা টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করে এই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, যে সমস্ত জায়গায় ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে, সেখানেই এই ধরণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লজ্জা করে না আপনাদের! আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্য পরিচয়পত্র থাকার পরেও শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার এই কাজ করেছে। আমি তাদের ধিক্কার জানাই"।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য থেকে মুম্বাইয়ে কাজে যাওয়া তিন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে সেখানকার পুলিশ। এরপর পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে না জানিয়ে তাঁদের বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরে বিষয়টি নজরে আসে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের। এরপরেই রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে ফ্ল্যাগ মিটিং করে ওই তিন জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে জানান, ওই তিনজনের মধ্যে দু'জনের বাড়ি মুর্শিদাবাদে এবং একজনের পূর্ব বর্ধমানে। তিনি আরও জানান, ১০ জুন রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের নজরে বিষয়টি এলে তারা মুম্বাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই তিনজনের পরিচয়পত্র দেয়। কিন্তু অভিযোগ, এর পরেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পুলিশ বা পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদকে না জানিয়েই তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রবিবার সামিরুল ইসলাম এই ঘটনার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান। এরপরে সোমবার এই নিয়ে বিধানসভায় ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে, সোমবার বিধানসভায় কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ এবং সংস্কারের খতিয়ান বিধানসভায় তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যে ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ও উঠে আসে বিধানসভার আলোচনায়। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা জনগণকে ভুল বোঝাচ্ছেন ওবিসি তালিকা নিয়ে। অন্যদিকে, সম্প্রতি সুকান্ত মজুমদার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ দেখান, তা নিয়েও সোমবার সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।

তিন পরিযায়ী শ্রমিক (বাঁদিকে), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডানদিকে)
Census: শুরু হচ্ছে দেশের ১৬ তম জনগণনা, প্রথম দফার কাজ শুরু এই বছরই, বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in