WB Panchayat Polls: কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে মত আদালতের, ১৪ জুলাই ভোটের প্রস্তাব আদালতের, চলছে শুনানি

প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচনের আগের সমস্ত আদেশ এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন... প্রতি প্রার্থীর জন্য এত বিপুল সংখ্যক লোক। রাজ্যের বাহিনী কি পর্যাপ্ত?
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ফাইল ছবি, গ্রাফিক্স - রিয়া সরকার

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে চলছে শুনানি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রীতিমত যুক্তি পাল্টা যুক্তিতে জমে উঠেছে শুনানি। কিছুক্ষণ আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচনের আগের সমস্ত আদেশ এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন... প্রতিটি প্রার্থীর জন্য এত বিপুল সংখ্যক লোক। অপপ্রচার ছড়ানো মানুষের সংখ্যা কল্পনা করুন। রাজ্যের বাহিনী কি পর্যাপ্ত?

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন হবে কিনা তা নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংবেদনশীল জেলাগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা তাদের সঙ্গে কী করব? আরও কিছু চিন্তা প্রয়োজন। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে পারে না। নির্বাচন কমিশন পারে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমার অভিজ্ঞতায় এলাকার পরিধি অনুযায়ী সব নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। স্পর্শকাতর এলাকায় রাজ্যের সব বাহিনী পাঠিয়ে দিলে প্রতিদিনের আইনশৃঙ্খলার কী হবে? সেজন্য আপনার সংরক্ষিত বাহিনী দরকার...

প্রধান বিচারপতি আরও জানান – কমিশনকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে পুলিশ দেওয়ায় সম্ভব হবে না।

এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, সিভিক ভলান্টিয়াররা পুলিশ নয়, তারা শুধু সহায়তা করে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এই প্রসঙ্গে বলা হয়, আমরা এই রিপোর্ট মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে পাঠাবো, তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনের পরও আদালতে যেতে হয়েছে। নির্বাচনের জন্য অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়োগ না করার আবেদন রয়েছে। মূল প্রশ্ন হল দায়বদ্ধতার। নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে আমি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হলে আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

নির্বাচনের মনোনয়ন জমায় কম সময় প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ১১ জুন রবিবার ছুটির দিন ছিল। অর্থাৎ মনোনয়নে ৭ দিনও সময় নেই। যার উত্তরে রাজ্য জানায়, ৭ দিন বাধ্যতামূলক নয়।

প্রধান বিচারপতি জানান, ২০১৮তে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ৭ দিন সময় দিয়েছিল মনোনয়ন জমার জন্য। যার উত্তরে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজ্ঞপ্তি জারির পরের দিন থেকেই সব জায়গায় মনোনয়নপত্র প্রস্তুত ছিল।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম
WB Panchayat Polls: মনোনয়ন পর্বে শক্তিগড়ে বাম কর্মীদের উপর হামলা, পাল্টা প্রতিরোধে এলাকা ছাড়া তৃণমূল

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in