রাস্তায় ছড়াছড়ি ব্যালট পেপার! জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় বিডিওকে তলব কলকাতা হাইকোর্টের

মঙ্গলবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ডিএন হাইস্কুলে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা চলাকালীন স্কুল সংলগ্ন রাস্তা থেকে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার করে স্থানীয় বাম কর্মী-সমর্থকেরা।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা
বিচারপতি অমৃতা সিনহাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

ব্যালট পেপারের প্রতি অসম্মান নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল কলকাতা হাইকোর্ট। জাঙ্গিপাড়ার রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকার অভিযোগ নিয়ে বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার একজলাসের দারস্থ হয়েছিলেন সেখানকার সিপিআইএম প্রার্থী। অভিযোগ ছিল, সিপিআইএমের পক্ষে ভোট পড়ায় সেই ব্যালট পেপার রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এর কারণ জানতে চেয়ে অবিলম্বে বিডিওকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, ওই বুথে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা ভোটকর্মীদের নামের তালিকাও দেখতে চেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ডিএন হাইস্কুলে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা চলাকালীন স্কুল সংলগ্ন রাস্তা থেকে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার করে স্থানীয় বাম কর্মী-সমর্থকেরা। ওই ব্যালট পেপারে রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারের সইও। বুধবার সেই পেপার নিয়ে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন ওই এলাকার সিপিআইএম প্রার্থী। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওই ব্যালট পেপারের গুচ্ছ পেশ করে অভিযোগ জানানো হয়, সিপিআইএম-এর পক্ষে ভোট দিয়েছিল মানুষ। মঙ্গলবার গণনার সময় তাই সেই সব ব্যালটগুলি গণনাকেন্দ্র সংলগ্ন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, ব্যালট পেপার রাস্তায় ছড়াছড়ি যাবে কেন? কেন সেগুলি রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে দুপুর ২টো নাগাদ আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে বুথকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ ও ওই বুথের দায়িত্বে থাকা ভোটকর্মীদের নামও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি সিনহা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বালিতেও এই একই ঘটনা ঘটেছিল। বালি দুর্গাপুর পল্লীমঙ্গল বিদ্যামন্দিরের গণনা কেন্দ্র সংলগ্ন খাল থেকে সিপিআইএম-এর প্রতীকে ভোট পড়া বহু ব্যালট উদ্ধার করেছিলেন বাম কর্মী সমর্থকরা।

বিচারপতি অমৃতা সিনহা
মামলার রায়ের উপর নির্ভর করবে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ, পঞ্চায়েত-হিংসা মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in