

রাজ্যজুড়ে চলা শাসক দলের দুর্নীতিকে আর কোনওভাবেই ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয় শাসক দলের সেটিং চুরমার করবে বামেরা। এই বার্তা দিয়ে সকল দুর্নীতিগ্রস্তদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিল বামফ্রন্ট।
মঙ্গলবার, বামফ্রন্টের বৈঠকে এই কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, আগামী ২ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর সপ্তাহব্যাপী রাজ্যের গ্রাম-শহরগুলিতে মিটিং, মিছিল, পথসভা ইত্যাদি প্রচার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দুপুর ২:৩০-র সময় সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করা হবে।
বামফ্রন্ট সূত্রের খবর, ওইদিন 'চোর ধরো, জেল ভরো' স্লোগান তুলে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বিধাননগরে। দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি সহ অন্যান্য জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেবে বলে আশাবাদী বামেরা।
শিক্ষা দপ্তরে নিয়োগ থেকে অন্যান্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগ - সবক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উত্তীর্ণ SSC চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগ না পেয়ে গান্ধীমূর্তির নীচে ৬০০ দিনের কাছাকাছি আন্দোলনরত। তাও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। রাজ্যের স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বত্র শিক্ষকের অভাব। অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা, ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ - এসবের জেরে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। তাই, এসবের বিরুদ্ধে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা।
জানা গেছে, ৯ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের পাশাপাশি জেলাগুলিতেও বিক্ষোভ কর্মসূচী চলবে। মূলত, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য, সমবায় ব্যাঙ্কের ঋণ, কাজ ও মজুরির দাবি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্লক অফিস ও থানাগুলিতে বিক্ষোভ সংঘটিত করবে বামেরা।
বিমান বসু আরও জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিরোধী শান্তি ও সংহতি দিবস। সেই উপলক্ষ্যে ওইদিন বিকেলে কলকাতায় শ্রমিক ও অন্যান্য গণসংগঠনগুলির ডাকে যে মিছিল অনুষ্ঠিত হবে, তাতে অংশ নেবে বামপন্থী ও অন্যান্য সহযোগী দলগুলি।
এর পাশাপাশি, আনিস খানের খুনিদের শাস্তি, সব হাতে কাজ এবং পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতিবাজ নেতা-মন্ত্রীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় 'ইনসাফ সভার' ডাক দিয়েছে বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন