কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টফাইল ছবি সংগৃহীত

WB: গরমের ছুটির মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। আদালত আবার ১৯ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
Published on

তীব্র দাবদাহের কারণে ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীকালে দেখা যায় গরমের চোখ রাঙানি কমে যায়। তবে বিদ্যালয় খোলেনি। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। যার রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, অতিমারীর ফলে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবার যদি স্কুল বন্ধ হয় তাহলে তা ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার পরেও কেন বিদ্যালয় খোলা হবে না? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মামলা করে হাইকোর্টে।

সেই মামলার শুনানি ছিল আজকে। শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। আদালত আবার ১৯ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।

উল্লেখ্য মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, অনেক পড়ুয়ার পক্ষে অনলাইন ক্লাস করাটা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রামের দিকে অনেকের সামর্থও নেই বেশী অর্থ দিয়ে মোবাইল ফোনে রিচার্জ করার। এমনটাই যদি চলতে থাকে তাহলে শহর ও গ্রামের পড়ুয়াদের পড়াশোনার মধ্যে ব্যাপক ফারাক সৃষ্টি হতে পারে।

বিচারপতির বেঞ্চকে আবহাওয়া দফতরের তথ্য সম্পর্কেও জানানো হয়। এখন দেখার বিষয় রাজ্য সরকারের দেওয়া ৪৫ দিনের ছুটি বহাল থাকে নাকি আদালত নতুন কোনো নির্দেশ দেয়।

কলকাতা হাইকোর্ট
অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে বেসরকারি স্কুল, প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস, নির্দেশ রাজ্য সরকারের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in