Shankar Malakar: দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কারের পরেই তৃণমূলে যোগ শঙ্কর মালাকারের

People's Reporter: এই দলবদলের চিন্তার ভাঁজ পদ্ম শিবিরে। কারণ শঙ্করের প্রভাব কংগ্রেসের ঝুলিতে যে ভোট জোগাড় করছিল, তাতে শিলিগুড়ির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিমুখী হয়ে উঠছিল। লাভ পাচ্ছিল বিজেপি।
সুব্রত বক্সী (বাঁদিকে), শঙ্কর মালাকার এবং অরূপ বিশ্বাস (ডানদিকে)
সুব্রত বক্সী (বাঁদিকে), শঙ্কর মালাকার এবং অরূপ বিশ্বাস (ডানদিকে)ছবি - সংগৃহীত
Published on

অবশেষে জল্পনার অবসান। তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তরবঙ্গের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। বুধবার দুপুরে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন শঙ্কর। বর্ষীয়ান নেতা জানিয়েছেন, 'উন্নয়নের স্বার্থে' এবং 'মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতে' তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

শঙ্করের দলবদল নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। পরিস্থিতি বুঝে বুধবার সকালেই তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কংগ্রেস জানায়, শঙ্কর মালাকারকে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এদিন দুপুরে কলকাতার তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন শঙ্কর।

২০১১ এবং ২০১৬ সালে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শঙ্কর। যদিও তার অনেক আগে থেকেই শিলিগুড়ি-সহ গোটা মহাকুমাতেই কংগ্রেসের প্রভাবশালী মুখ শঙ্কর। প্রথমে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির অনুগামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে দীপা দাশমুন্সির শিবিরে। একসময় পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতিও হন। শঙ্করের তত্ত্বাবধানেই দার্জিলিং লোকসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দাওয়া নরবুলা জয়ী হয়েছিলেন।

এমনকি শিলিগুড়ি পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভালো ফল হয়েছিল শঙ্করের নেতৃত্বেই। তৃণমূলের গৌতম দেবকে আটকাতে সে বার সিপিআইএমকে সমর্থন করেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা। মেয়র হয়েছিলেন সিপিআইএমের অশোক ভট্টাচার্য। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই শঙ্করের দলবদল রাজ্যের শাসক দলের জন্য লাভবান হবে বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে এই দলবদলের ফলে চিন্তার ভাঁজ পদ্ম শিবিরে। কারণ শঙ্করের মতো বর্ষীয়ান নেতার প্রভাব কংগ্রেসের ঝুলিতে যে পরিমাণ ভোট জোগাড় করছিল, তাতে শিলিগুড়ির প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক ক্ষেত্রে ত্রিমুখী হয়ে উঠছিল। আর এতে লাভ পাচ্ছিল বিজেপি। শিলিগুড়ি, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ার মতো বিধানসভা আসনে তৃণমূলের অবস্থা ছিল হতাশাজনক। কিন্তু সেই শঙ্করের শিবির বদলের ফলে শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর ত্রিমুখী হবে না। শঙ্করের ব্যক্তিগত জনভিত্তি তৃণমূলের দিকে সরে গেলে বিজেপির জন্য কঠিন হতে পারে ছাব্বিশের ভোটযুদ্ধ।

সুব্রত বক্সী (বাঁদিকে), শঙ্কর মালাকার এবং অরূপ বিশ্বাস (ডানদিকে)
SSC: এসএসসি-র নয়া বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হাইকোর্টে, বৃহস্পতিতে শুনানির সম্ভাবনা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in