
২০২৫ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নয়া বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। নয়া বিজ্ঞপ্তির বিধির বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। মঙ্গলবার বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় মামলার অনুমতি দিয়েছেন। ৫ জুন শুনানির সম্ভাবনা।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আনা হয়েছে অনেক বদল। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরের, ২০১৬ সালে যেটা ছিল ৫৫ নম্বর। এছাড়া, শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ৩৫ নম্বরের পরিবর্তে থাকছে মাত্র ১০ নম্বর। শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে ১০ নম্বর।
পাশাপাশি, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির হিসাবে যাঁদের বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর, তাঁরাই নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। তবে তপসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি চাকরিপ্রার্থীরা ছাড় পাবেন বয়সের ক্ষেত্রে। এছাড়া, মেধাতালিকা এবং ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর এক বছর পর্যন্ত। এমনকি প্যানেল শেষের পর দু'বছর পর্যন্ত ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হবে। তবে তারপরেও ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি সংরক্ষিত থাকবে ১০ বছর পর্যন্ত।
হাইকোর্টে মামলাকারীদের দাবি, ২০২৫ সালের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি ২০১৬ সালের মতোই করতে হবে। না হলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ফের বঞ্চিত হবে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানো, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে নির্দিষ্ট নম্বর। ফলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীরা পিছিয়ে পড়বেন। সেই কারণেই এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্চ করে মামলা দায়ের করেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
এই নিয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ‘‘যদি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর দেওয়া হয়, বঞ্চিতরা তা হলে কি বঞ্চিত হয়েই থেকে যাবেন? তাঁদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া ৯০ নম্বরের, বাকিদের জন্য ১০০ নম্বরের, এমনটা তো হতে পারে না। তাই ২০১৬ সালের নিয়মের ভিত্তিতেই পরীক্ষা নিতে হবে। অনলাইনে আবেদন শুরু হওয়ার আগেই এই মামলার শুনানি হওয়া প্রয়োজন।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, মামলাকারীরা রি-প্যানেলের দাবি করছেন। বহু চাকরিহারারাই দ্বিতীয়বার চাকরিতে বসতে নারাজ।
অন্য দিকে, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্দোলনরত চাকরিহারারাও। তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এসএসসির নয়া বিধির বিরোধিতা করছেন তাঁরাও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন