

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হল বামপন্থীরা। ১১টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনে জয়ী হয়েছেন সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরা। ১টি আসনে জয়ী হয়েছেন এসইউসিআই সমর্থিত প্রার্থী। একটিও আসনে জিততে পারলো না তৃণমূল।
২০১৭ সালে শেষবার এই কর্মচারী সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। তাতে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস সমর্থিত ইউনিয়ন। এবার সেখানে জয় পেল বামেরা। পরপর দুবার তৃণমূল এখানে কোনো ছাপ ফেলতে পারলো না। ফল প্রকাশের পর বাম প্রার্থীরা লাল আবির নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
তবে গণনার পর জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে টালবাহানা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠে। সার্টিফিকেটের দাবিতে কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বাম কর্মচারী, শিক্ষকরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবশেষে জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর সার্টিফিকেট নিয়ে রাতেই ক্যাম্পাসে মিছিল করেন বামেরা। লাল আবিরে ভরে ওঠে কলেজস্ট্রিটের রাস্তা।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভাবে জয়ী হয়েছে বামেরা। এখানেও একটিও আসন পায়নি শাসক তৃণমূল। এর আগে গত মাসের শেষের দিকে হুগলীর বাঁশবেড়িয়ায় হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতির নির্বাচনেও জয়ী হয় বামেরা। এখানেও একটিও আসন পায়নি তৃণমূল। ৬ টি আসনেই জয়ী হয়েছেন বামপন্থীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরপর এই ধরনের জয়ে বামেরা বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন