
ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নয়, খাস কলকাতাতে স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামীর উপর হামলা চালায় তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠী। এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতা পুরনিগমের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড-সহ গোটা শহরে। আক্রান্তের নাম সুশীল কুমার শর্মা। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর নিবেদিতা শর্মার স্বামী। সুশীলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে শেখ রাজা ও তাঁর ছেলে ওয়াসিমের বিরুদ্ধে। শেখ রাজা আমান মহল্লা কমিটির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় ওই ওয়ার্ডে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র একটি কর্মিসভা ছিল। অভিযোগ, সেখানেই সুশীল কুমারের অনুগামী পক্ষের সঙ্গে আর এক পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতেই হামলা চলে। তারপর বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি, মারধর। স্থানীয় কাউন্সিলর নিবেদিতা সাহার স্বামী সুশীল কুমারকে সরাসরি আক্রমণ করে। তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। মারধরের পর তাঁর জামা কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, আক্রান্তকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর মাথা ফাটেনি।
আক্রান্ত সুশীল শর্মার অভিযোগ, এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক বাবুল সুপ্রিয়র নানারকম ভিডিও তুলে ভাইরাল করছিল। তারা এলাকার তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। সেই ভিডিও ভাইরাল করার প্রতিবাদ করেন সুশীল শর্মা। তখনই তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর ছেলেরা লাঠি, রড নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক জনের নাক ফেটে গিয়েছে। সুশীল শর্মার কাঁধে লাঠি দিয়ে মারা হয়। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেন, 'ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। তবে দলীয় নেতৃত্ব বিষয়টি জেনেছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।' উল্লেখ্য, আক্রান্ত সুশীল কুমার শর্মা প্রথমে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী সেখানকার কাউন্সিলর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন